২০ রোজার মধ্যে পোশাকশ্রমিকদের বেতন–বোনাস ও বকেয়া পরিশোধের দাবি

গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র (টিইউসি) আজ শুক্রবার ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেছবি: বিজ্ঞপ্তি

অবিলম্বে নতুন মজুরিকাঠামো অনুযায়ী ২০ রোজার মধ্যে পোশাকশ্রমিকদের বকেয়া বেতন ও পূর্ণ বোনাস; ছুটির টাকা এবং ঈদের আগে এপ্রিল মাসের অর্ধেক বেতন পরিশোধের দাবি জানিয়েছে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র (টিইউসি)। আজ শুক্রবার ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে সংগঠনটি এ দাবি জানায়।

সমাবেশে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি মন্টু ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান শামীম, সহসভাপতি জিয়াউল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ শাজাহান, কেন্দ্রীয় নেতা দুলাল সাহা, আবদুস সালাম বাবুল, আজিজুল ইসলাম, হাবিব হাসিবুর রহমান রিফাত প্রমুখ বক্তব্য দেন।

শ্রমিকনেতারা বলেন, গাজীপুরসহ আশুলিয়া, নারায়ণগঞ্জ ও উত্তরার বিভিন্ন কারখানায় শ্রমিকদের বেতন বকেয়া রয়েছে। কোনো কোনো কারখানায় তিন-চার মাসের বেতনও বকেয়া পড়েছে। শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি মাত্র সাড়ে ১২ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হলেও এখনো অনেক কারখানা এই মজুরিও দিচ্ছে না। বরং বিভিন্ন কারখানায় শ্রমিক ছাঁটাই অব্যাহত রয়েছে। গাজীপুরের টিআরজেড, সাদাত আউট ওয়্যারসসহ অনেক কারখানায় বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে আন্দোলন চলছে। মালিকপক্ষ লোকসানে থাকার অজুহাত দেখিয়ে শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করছে না। অথচ শ্রমিকদের দিয়ে দিন–রাত ওভারটাইম করানো হচ্ছে। টার্গেট পূরণের নামে বাড়তি উৎপাদনের চাপ দেওয়া হচ্ছে শ্রমিকদের।

সংগঠনটি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায়। এতে নেতাদের উদ্ধৃত করে বলা হয়, শ্রম মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে ঈদের আগেই শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অনেক কারখানায় এখনো ফেব্রুয়ারি মাসের বেতনই পরিশোধ করা হয়নি। এ ক্ষেত্রে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো সক্রিয় কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না।

গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র (টিইউসি) নেতারা বলেন, মজুরিকাঠামো পুনর্নির্ধারণের সময় শ্রমিকদের রেশনব্যবস্থা চালু করার দাবি ছিল। কিন্তু এখনো তা চালু করা হয়নি। এই চড়া মূল্যের বাজারে শ্রমজীবী মানুষের টিকে থাকতে হলে রেশনিং পদ্ধতি চালু করতে হবে। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর মতো শ্রমিকদের রেশনিংয়ের জন্যও বাজেটে বরাদ্দ রাখতে হবে।

সমাবেশ থেকে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সব শিল্প এলাকায় সপ্তাহব্যাপী মিছিল-সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সমাবেশ শেষে একটি মিছিল বের করা হয়, যা তোপখানা সড়ক হয়ে পল্টন মোড়ে গিয়ে শেষ হয়েছে।