ওয়ালটনের শীর্ষ পর্যায়ে রদবদল, চেয়ারম্যান-এমডির দায়িত্বে দুই ভাই

ইলেকট্রনিক পণ্যের দেশীয় জায়ান্ট ওয়ালটনের শীর্ষ দুই পদে পরিবর্তন এসেছে। প্রতিষ্ঠানটির নতুন চেয়ারম্যান হয়েছেন এস এম শামসুল আলম। আগে তিনি ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটির নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নির্বাচিত হয়েছেন এস এম মাহবুবুল আলম, তিনি আগে পরিচালক ছিলেন।

সম্প্রতি ওয়ালটনের এমডি পদ ছাড়েন গোলাম মুর্শেদ। গত ৮ অক্টোবর এমডি হিসেবে তাঁর মেয়াদ শেষ হয়। মেয়াদ পূর্তি হওয়ায় তিনি এমডি পদ ছাড়েন। ফলে প্রতিষ্ঠানটির গুরুত্বপূর্ণ ওই পদ খালি হয়।

নতুন এমডি নিয়োগসহ কোম্পানিটির শীর্ষ পদে রদবদলের জন্য গতকাল শনিবার পরিচালনা পর্ষদের সভা আহ্বান করা হয়। ওই সভায় কোম্পানির নতুন চেয়ারম্যান ও এমডি চূড়ান্ত করে পর্ষদের সদস্যরা।

এতে চেয়ারম্যান হয়েছেন এস এম শামসুল আলম। আগে ওয়ালটনের চেয়ারম্যান ছিলেন এস এম নুরুল আলম রেজভি। এখন তাঁকে ওয়ালটন গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যানের নতুন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

আর ভাইস চেয়ারম্যান থেকে শামসুল আলম চেয়ারম্যান হওয়ায় ভাইস চেয়ারম্যানের পদটিও শূন্য হয়। পর্ষদ সভায় ওয়ালটনের নতুন ভাইস চেয়ারম্যান করা হয়েছে এস এম আশরাফুল আলমকে। তিনি আগে ওয়ালটনের পরিচালক ছিলেন।

বর্তমানে ওয়ালটনের মূল মালিকানায় রয়েছেন পাঁচ ভাই। তাঁরা হলেন এস এম নুরুল আলম, এস এম শামসুল আলম, এস এম আশরাফুল আলম, এস এম মাহবুবুল আলম ও এস এম রেজাউল আলম।

এত দিন ভাইদের মধ্যে সবার বড় এস এম নুরুল আলম কোম্পানির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন।

এখন দ্বিতীয় ভাই সেই দায়িত্বে এলেন। আর তৃতীয় ভাই এস এম আশরাফুল আলম ভাইস চেয়ারম্যান ও চতুর্থ ভাই এস এম মাহবুবুল আলম এমডির দায়িত্বে এসেছেন। ভাইদের মধ্যে সবার ছোট এস এম রেজাউল আলম রয়েছেন পরিচালক হিসেবে।

ওয়ালটনের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন এস এম নজরুল ইসলাম। তাঁর ৫ ছেলে ও ২ মেয়ে। কোম্পানিটির প্রতিষ্ঠাতা নজরুল ইসলাম ২০১৭ সালে মারা যান। এরপর কোম্পানিটির পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তাঁর পাঁচ ছেলে ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা।

ওয়ালটনের যাত্রা শুরু হয়েছিল বিদেশি পণ্য আমদানি করে। ১৯৯৯ সালে চীন থেকে আমদানি করা টেলিভিশন বিক্রির মাধ্যমে ওয়ালটন ইলেকট্রনিকস যাত্রা শুরু করে। তবে লক্ষ্য ছিল দেশেই কারখানা করার। ওয়ালটনের উদ্যোক্তা প্রয়াত এস এম নজরুল ইসলাম সে লক্ষ্য পূরণে বেশি সময় নেননি।

২০০৫ সালের শেষ দিকে ওয়ালটন গাজীপুরের কালিয়াকৈরে জমি কিনে কারখানার কাজ শুরু করে। বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয় ২০০৮ সালে, ফ্রিজ দিয়ে।