একগুচ্ছ করছাড় চান তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকেরা

বাজেট

আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে উৎসে করে ছাড় চেয়েছে পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। একই সঙ্গে নগদ সহায়তার ওপর আয়কর কর্তনের হার হ্রাস, ভ্যাট মওকুফ, পুনঃ প্রক্রিয়াজাত তন্তু উৎপাদন ও সাব কন্ট্রাকটিং বা ঠিকা কাজে ভ্যাট অব্যাহতিসহ একগুচ্ছ করছাড় চেয়েছে তারা।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআরের কার্যালয়ে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে প্রাক্‌-বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে পোশাকশিল্পের মালিকদের একাধিক সংগঠনের পক্ষ থেকে এ দাবি জানানো হয়। বৈঠকে অংশ নেন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান, নিট পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি এ কে এম সেলিম ওসমান ও নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বস্ত্রকলমালিকদের সংগঠন বিটিএমএর সভাপতি মোহাম্মদ আলী। সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।

বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান তৈরি পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে দশমিক ৫০ শতাংশ করা এবং তা আগামী ৫ বছর অব্যাহত রাখার দাবি জানান। তিনি বলেন, বর্ধিত হারে উৎসে কর কর্তন করায় তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকেরা ব্যবসা পরিচালনায় আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। বর্তমান সংকটকালে উৎসে কর যদি আগের মতো দশমিক ৫০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়, তাহলে এ খাতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তা সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। রপ্তানি বাড়াতে উদ্যোক্তারা উদ্বুদ্ধ হবেন। এতে অর্থনীতি উপকৃত হবে।

এ ছাড়া পোশাকশিল্পের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য নগদ সহায়তার ওপর আয়কর কর্তনের হার ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা, প্রতিযোগী সক্ষমতা বাড়াতে স্থানীয় বাজার থেকে সংগৃহীত পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট মওকুফ, কাটা পোশাক আমদানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা, সাব কন্ট্রাক্টিংয়ের বিপরীতে ভ্যাট মওকুফের দাবি করেন বিজিএমইএ সভাপতি।

ন্যূনতম কর সমন্বয়ের প্রস্তাব অ্যামটবের

টেলিযোগাযোগ খাতের করপোরেট কর ও ন্যূনতম কর সমন্বয়ের প্রস্তাব করেছে মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল অপারেটরস অব বাংলাদেশ বা অ্যামটব। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট সামনে রেখে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বা এনবিআরের সঙ্গে অনুষ্ঠিত প্রাক্‌-বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে সংগঠনটি এ দাবি জানায়।

এনবিআর কার্যালয়ে গতকাল প্রাক্‌-বাজেট সভায় অ্যামটবের পক্ষ থেকে টেলিকম–সংক্রান্ত আয়কর, মূল্য সংযোজন কর, আমদানি শুল্ক ও সম্পূরক শুল্ক বিষয়ে ২১ দফা প্রস্তাব দেওয়া হয় বলে সংগঠনটির এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

প্রাক্‌–বাজেট আলোচনার বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে অ্যামটব মহাসচিব মোহাম্মদ জুলফিকার বলেন, মোবাইল শিল্প খাতের সার্বিক প্রবৃদ্ধি অন্য সব খাতের সার্বিক প্রবৃদ্ধির নির্ণায়ক। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, এই খাতের ওপর আরোপ করা বিবিধ কর দেশের অন্যান্য খাতের চেয়ে অনেক বেশি। এমনকি বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায়ও এ কর বেশি।

আগামী বাজেট সামনে রেখে অ্যামটবের দেওয়া প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে একই ব্যর্থতার কারণে দুই বার করারোপ ও দ্বৈতকর পরিহার করা, সব সরকারি সংস্থার রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা স্পষ্ট করা, করপোরেট কর কমানো বা যুক্তিযুক্ত পর্যায়ে রাখা, ন্যূনতম কর সমন্বয় করা, অসমন্বয়কৃত অঙ্ক জের হিসেবে টানা, সিমের ওপর ধার্য মূল্য সংযোজন কর বাদ দেওয়া এবং টেলিকম অপারেটরদের জন্য আলাদা এইচ এস কোড চালু করা ইত্যাদি।