বে টার্মিনালের চার প্রকল্পে আট বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হবে

চট্টগ্রাম বন্দরের ১৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল। আজ বুধবার দুপুরে শহীদ ফজলুর রহমান মুন্সী মিলনায়তনেছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বন্দরের প্রস্তাবিত বে টার্মিনাল প্রকল্পে ৮০০ কোটি ডলার (৮৮ হাজার কোটি টাকা) বিদেশি বিনিয়োগ হচ্ছে। প্রকল্পের আওতায় জাহাজ থেকে পণ্য ওঠানো-নামানোর চারটি টার্মিনাল ও নৌপথ তৈরিতে এই বিনিয়োগের কথা জানিয়েছেন বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল।

চট্টগ্রাম বন্দরের ১৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল এ তথ্য জানান। আজ বুধবার দুপুরে শহীদ ফজলুর রহমান মুন্সী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বন্দর পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

চট্টগ্রাম বন্দরের ১৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল। আজ বুধবার দুপুরে শহীদ ফজলুর রহমান মুন্সী মিলনায়তনে
ছবি: সংগৃহীত

সংবাদ সম্মেলনে বন্দরের চেয়ারম্যান বে টার্মিনালের চারটিসহ বন্দরের ছয়টি নতুন টার্মিনালের অগ্রগতি তুলে ধরেন। এসব প্রকল্পের দৃশ্যমান কাজ এ বছর শুরু হওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।

বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ বিদেশি বিনিয়োগ বে টার্মিনাল হচ্ছে উল্লেখ করে বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল বলেন, বে টার্মিনালের চারটি টার্মিনালের মধ্যে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ হবে গ্যাস ও তেল খালাসের টার্মিনালে। বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে ইস্ট কোস্ট গ্রুপ এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। তাতে ৩৫০ কোটি ডলার বিনিয়োগ হবে। কনটেইনার ও পণ্য ওঠানো-নামানোর তিনটি টার্মিনাল নির্মাণ হবে। এর মধ্যে ১৫০ কোটি ডলার করে বিনিয়োগ করে আলাদা দুটি টার্মিনাল নির্মাণ ও পরিচালনা করবে সিঙ্গাপুরে পিএসএ ইন্টারন্যাশনাল ও আমিরাতের ডিপি ওয়ার্ল্ড। মাল্টিপারপাস নামের আরেকটি টার্মিনাল আবুধাবি পোর্টস নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছে, যেখানে ১০০ কোটি ডলারের বিনিয়োগ হতে পারে। এ ছাড়া নৌপথ তৈরিতে ৫৯ কোটি ডলার বিনিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে।

বাংলাদেশের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দরের টার্মিনালের নির্মাণকাজ শিগগিরই শুরু হবে বলে জানান বন্দরের চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, সরকারি অনুমোদন পাওয়ার পর মাঠপর্যায়ে নির্মাণকাজ শিগগিরই শুরু হবে। গভীর সমুদ্রবন্দরে বড় জাহাজ ভেড়ানো যাবে।

ডেনমার্কের এপিএম টার্মিনালস লালদিয়ায় বিনিয়োগের কথা জানিয়ে বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, লালদিয়ার চরে টার্মিনাল নির্মাণে সমীক্ষা হয়েছে। সেখানে টার্মিনাল নির্মাণ ও পরিচালনার জন্য এ বছর ডেনমার্কের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি হবে।

মতবিনিময় সভায় জানানো হয়, ১৮৮৭ সালে পোর্ট কমিশনার্স আইন প্রণয়ন হয়। পরের বছর ১৮৮৮ সালের ২৫ এপ্রিল থেকে তা কার্যকর হয়। তখন থেকেই চট্টগ্রাম বন্দরের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। এ জন্য প্রতিবছর ২৫ এপ্রিল বন্দর দিবস হিসেবে পালন হয়ে আসছে।