শ্রমিক হত্যার বিচার দাবি করলেন শ্রমিকনেতারা

রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আজ শুক্রবার আয়োজিত এক সভায় গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির নেতা–কর্মীরা।ছবি: বিজ্ঞপ্তি

কোটা সংস্কার ও পরে সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনে তৈরি পোশাকশিল্পের শ্রমিকসহ শত শত মানুষ হত্যার বিচার দাবি করেছেন গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির নেতা–কর্মীরা। একই সঙ্গে তাঁরা গত বছরের মজুরি আন্দোলনে শ্রমিক নিহতের ঘটনার বিচারের পাশাপাশি শ্রমিক ও শ্রমিকনেতাদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।

রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আজ শুক্রবার আয়োজিত এক সভায় এসব দাবি করেন গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির নেতা–কর্মীরা। সংগঠনের সভাপ্রধান তাসলিমা আখতারের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন ছাত্র–জনতার গণ–অভ্যুত্থানে পুলিশের গুলিতে নিহত পোশাকশ্রমিক শুভ শীলের মা সাধনা শীল, সংগঠনটির সহসভাপ্রধান অঞ্জন দাস, সহসাধারণ সম্পদক এফ এম নুরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রবীর সাহা প্রমুখ।

সমাবেশে নেতারা বলেন, স্বৈরাচারী শাসকের বিরুদ্ধে ছাত্র–জনতার আন্দোলনে পোশাকশ্রমিকেরা অংশ নিলে তাঁদের নির্বিচার গুলি করে হত্যা করা হয়। সারা দেশে ২০ জনের বেশি পোশাকশ্রমিক এই আন্দোলনে প্রাণ হারিয়েছেন। ১৯ জুলাই থেকে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারানোর তালিকায় পোশাকশ্রমিকদের নাম আসতে থাকে। ওই সময় ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় অনেকের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। নিহত শ্রমিকদের মধ্যে আছেন মো. রাসেল, মো. জামান মিয়া, শুভ শীল, জাকির হোসেন, সাকিনুর রহমান, শাহ আলম, আসিফ, সোহাগ মিয়া, সজীব, মনিহাজুল, পারভেজ। নিহত ও আহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা এবং পরিচয়বিহীন লাশের ডিএনএ টেস্ট করে সমাধি দেওয়ার দাবি জানান তাঁরা।

শ্রমিকনেতারা আরও বলেন, কোটা আন্দোলন ও ছাত্র-জনতার গণ–অভুত্থানে শহীদ পোশাকশ্রমিকসহ সব হত্যাকাণ্ডের বিচার ও দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে। স্বৈরাচারী শাসকদের নির্দেশে পুলিশের পাশাপাশি ছাত্রলীগ-যুবলীগের কর্মীরা বিভিন্ন জায়গায় গুলি চালান। গুলির নির্দেশদাতা, ইন্ধনদাতাসহ সবাইকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তাঁরা।

শ্রমিকনেতারা বলেন, গত বছর মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলনে ৪ শ্রমিক হত্যার বিচার এবং শ্রমিকনেতা ও সাধারণ শ্রমিকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মিথ্যা মামলা নির্বাহী আদেশে দ্রুত প্রত্যাহার করতে হবে।