ছয় শ্রেণিতে রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার পেল ২০ প্রতিষ্ঠান

জাতীয় অর্থনীতিতে শিল্প খাতে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০২১ সালের জন্য রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার পেয়েছে ২০টি প্রতিষ্ঠান। মোট ছয়টি শ্রেণিতে এসব প্রতিষ্ঠানকে সেরা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন আজ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিক ও প্রতিনিধিদের হাতে পুরস্কারের ক্রেস্ট ও সম্মাননা সনদ তুলে দেন।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব জাকিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষিমন্ত্রী মো. আবদুস শহীদ ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম। শিল্প মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

২০২১ সালের জন্য বৃহৎ শিল্প শ্রেণিতে ৬টি, মাঝারি শিল্প শ্রেণিতে ৩টি, ক্ষুদ্র শিল্প শ্রেণিতে ৪টি, অতিক্ষুদ্র শিল্প শ্রেণিতে ৩টি, কুটিরশিল্প শ্রেণিতে ৩টি, হাইটেক শিল্প শ্রেণিতে ১টিসহ মোট ২০টি প্রতিষ্ঠান পুরস্কৃত হয়েছে। এর মধ্যে বৃহৎ শিল্প শ্রেণিতে যৌথভাবে প্রথম হয়েছে ইকোটেক্স, প্রাণ ডেইরি ও মীর আক্তার হোসেন লিমিটেড। দ্বিতীয় হয়েছে স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ, যৌথভাবে তৃতীয় হয়েছে স্নোটেক্স আউটারওয়্যার ও স্কয়ার টয়লেট্রিজ। মাঝারি শিল্প শ্রেণিতে প্রথম হয়েছে বেঙ্গল পলি অ্যান্ড পেপার স্যাক, দ্বিতীয় হয়েছে বসুমতী ডিস্ট্রিবিউশন ও তৃতীয় হয়েছে এপিএস অ্যাপারেলস। ক্ষুদ্র শিল্প শ্রেণিতে যৌথভাবে প্রথম হয়েছে দ্য রিলায়েবল বিল্ডার্স ও কনকর্ড এন্টারটেইনমেন্ট কোম্পানি; দ্বিতীয় হয়েছে রংপুর ফাউন্ড্রি ও তৃতীয় হয়েছে গুনজে ইউনাইটেড। অতিক্ষুদ্র বা মাইক্রো শিল্প শ্রেণিতে প্রথম হয়েছে ফারিহা গ্রিন মুড লেদারস; দ্বিতীয় হয়েছে এ বি এম ওয়াটার কোম্পানি ও তৃতীয় হয়েছে ডিপলেড ল্যাবরেটরিজ। কুটির শিল্প শ্রেণিতে প্রথম হয়েছে ব্লু-স্টার অ্যাগ্রো প্রোডাক্ট অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, দ্বিতীয় হয়েছে প্রীতি বিউটি পার্লার এবং তৃতীয় হয়েছে লেহাজ সালমা যুব মহিলা কল্যাণ সংস্থা। এ ছাড়া হাইটেক শিল্প শ্রেণিতে পুরস্কার পেয়েছে বিজ সলু৵শনস।

২০১৪ সাল থেকে শিল্প মন্ত্রণালয় প্রথমবারের মতো ‘রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার’ প্রদান শুরু করে। তারই ধারাবাহিকতায় এ বছর সপ্তম বারের মতো এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।

পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী বলেন, এ ধরনের স্বীকৃতি উদ্যোক্তাদের নিজ নিজ কারখানার উৎপাদিত পণ্যের উৎকর্ষ সাধনে অনুপ্রাণিত করবে। এ দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে নবীন উদ্যোক্তারাও নিজেদের পণ্যের গুণগত মানোন্নয়ন এবং বিশ্বমানের শিল্প স্থাপনে উজ্জীবিত হবেন। এতে দেশে গুণগত মানসম্মত শিল্পায়নের ধারা বেগবান হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী মো. আবদুস শহীদ বলেন, ‘কৃষি উৎপাদনে ঈর্ষণীয় সাফল্য থাকা সত্ত্বেও আমরা কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, সংরক্ষণ ও রপ্তানিতে অনেকটা পিছিয়ে আছি। প্রক্রিয়াজাতকরণের কম সুযোগ ও সংরক্ষণাগারের অভাবে আমাদের উৎপাদিত শাকসবজি ও ফলমূলের ২০-৩০ শতাংশ পর্যন্ত নষ্ট হয়ে যায়। ফলে কৃষক ও ভোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হন।’