শ্রমিকদের জন্য রেশন চালু করতে ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের দাবি

তৈরি পোশাকশিল্পের শ্রমিকদের জন্য রেশনব্যবস্থা চালু করতে আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকনেতারা। তাঁরা বলেন, যে দেশে মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু ও কর্ণফুলী টানেল হতে পারে, সে দেশের অর্থনীতির চালিকা শক্তি তৈরি পোশাকশিল্পের শ্রমিকদের জন্য রেশনব্যবস্থা চালু করতে সরকারের অসুবিধা কোথায়?

রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আজ সোমবার সংবাদ সম্মেলন করে শ্রমিকদের রেশনিংয়ের জন্য বাজেটে বরাদ্দ রাখার দাবি জানান তাঁরা। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিরুল হক। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সহসভাপতি আলেয়া বেগম, নারী সম্পাদক সুইটি সুলতানা প্রমুখ।

আমিরুল হক লিখিত বক্তব্যে বলেন, তৈরি পোশাকশিল্পের ৪২ লাখ শ্রমিক দেশের মোট পণ্য রপ্তানির ৮৪ শতাংশ পূরণ করেন। তাঁদের শ্রমে ও ঘামে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল থাকলেও তাঁরা তুলনামূলক কম মজুরি পান। ফলে বর্তমান দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে তাঁদের জীবন যাপন করা দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। পোশাকশ্রমিকদের জন্য রেশনপদ্ধতিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ চালুর আলোচনা পাঁচ বছর ধরে চলছে। বর্তমান মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা সংসদে পোশাকশ্রমিকদের জন্য রেশনিং চালু করার বিষয়ে কথা বলেন, আশ্বস্ত করেন। যদিও এখন পর্যন্ত পোশাকশ্রমিকেরা রেশন–সুবিধা পাননি।

আমিরুল হক আরও বলেন, আগামী অর্থবছরের জন্য অর্থমন্ত্রী ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেছেন। তৈরি পোশাকশিল্পের ৪২ লাখ শ্রমিকের জন্য ১ বছরের রেশনিংয়ের খরচ হবে ১০ হাজার কোটি টাকা। তিনি আরও বলেন, আগামী অর্থবছরের বাজেটে পোশাকশ্রমিকদের রেশনের জন্য কোনো বরাদ্দ না থাকায় তা তাঁদের ক্ষুব্ধ করেছে।

ফেডারেশনের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়। এতে বলা হয়, ইউনাইটেড গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম, একতা গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান এ দাবির সঙ্গে সংহতি জানান।