আমদানিনির্ভরতা কমাতে আমরা নিয়মিতই কারখানা সম্প্রসারণ করে আসছি। এতে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ কাঁচামাল আমদানি করতে হচ্ছে। কাঁচামাল আমদানি বেড়ে যাওয়ার অর্থ হলো, দেশে মূল্য সংযোজন ও কর্মসংস্থান তৈরি হওয়া। প্রস্তুত পণ্যের আমদানি কমে আসা।
শুধু মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজই নয়, বেসরকারি খাতের যত বেশি সম্প্রসারণ হবে, আমদানিনির্ভরতা ততই কমে আসবে। পণ্য রপ্তানি বাড়বে। সেই সঙ্গে বাড়বে কর্মসংস্থানও।
আমদানিনির্ভরতা কমাতে দেশে নতুন নতুন কারখানা গড়ে তোলা আমার একধরনের নেশা। নারায়ণগঞ্জে দুটি অর্থনৈতিক অঞ্চলের পর এখন আমরা কুমিল্লা অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছি। সেখানেও স্টিল, গ্লাসসহ নতুন নতুন কারখানা গড়ে তোলা হবে। তৈরি হবে প্রচুর মানুষের কর্মসংস্থান।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে কঠিন সময় পার করছি আমরা। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের ঢেউ এসে পড়েছে আমাদের এখানেও। বিশ্ববাজারে পণ্য ও কাঁচামালের দামে অস্থিরতা চলছে। দেশে ডলারের বিনিময় মূল্যও অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে। তাতে আমদানির দায় শোধে বড় গ্রুপগুলোর বিপুল বাড়তি খরচ হচ্ছে।
এমন সংকটের পরও আমরা থেমে থাকতে চাই না। সংকট মোকাবিলা করে এগিয়ে যেতে চাই। কারণ, বেসরকারি খাত থেমে গেলে দেশের কর্মসংস্থানও থেমে যাবে। দেশের অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হবে। বর্তমান সংকটের সময় সরকারের নীতিসহায়তা দরকার। অন্তত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের বেঁধে দেওয়া দামে যাতে ডলার কেনার সুযোগ পাই আমরা, সেটি নিশ্চিত করা উচিত। সেটি হলে উদ্যোক্তা হিসেবে বাকি কাজটুকু আমরা নিজেরাই এগিয়ে নিতে পারব।