১১ বছরেও বিচার শেষ হয়নি, সাক্ষ্য গ্রহণেই আটকে আছে মামলা

তাজরীন ফ্যাশনসে আগুন, সাভারের আশুলিয়ায় ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর, নিহত ১১১ জনফাইল ছবি

তাজরীন ফ্যাশনসে অগ্নিকাণ্ডে ১১১ শ্রমিক পুড়ে মারা যাওয়ার ঘটনায় মালিকপক্ষের বড় ধরনের গাফিলতি ছিল। আগুন লাগার পরপরই কারখানার তৃতীয় তলার ফটকে তালা মেরে দেওয়া হয়েছিল। সেই ঘটনার ১১ বছর হতে চললেও বিচার শেষ হয়নি। সাক্ষ্য গ্রহণেই আটকে আছে মামলা। মূল আসামি তাজরীনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বর্তমানে জামিনে আছেন।

২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরের তাজরীন ফ্যাশনসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১১১ পোশাকশ্রমিক নিহত হন। আহত হন শতাধিক শ্রমিক, যাঁদের অনেকেই আর স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেননি।

ওই ঘটনার পর দায়ের করা মামলার তদন্ত করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ২০১৩ সালের ২ ডিসেম্বর ১৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। আসামিরা হলেন তাজরীনের এমডি মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, তাঁর স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার, প্রকৌশলী এম মাহবুবুল মোর্শেদ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা দুলাল, স্টোর ইনচার্জ হামিদুল ইসলামসহ ১৩ জন। বর্তমানে আসামিরা সবাই জামিনে আছেন। মামলার সাক্ষী ১০৪ জন।

তাজরীন ফ্যানশনসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২০১৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠানটির এমডিসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করা হয়। তবে সাক্ষী হাজির করতে না পেরে বারবার সময় নেয় রাষ্ট্রপক্ষ।

আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহমেদ গতকাল বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে বলেন, তাজরীনের মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে। এখন পর্যন্ত ১০ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। বাকিদের হাজির করতে পারছে না রাষ্ট্রপক্ষ। সে কারণে মামলার বিচারকাজ শুরু হতে বিলম্ব হচ্ছে।

এদিকে আজ শুক্রবার তাজরীন ফ্যাশনসের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার ১১ বছর পূর্ণ হবে। এ উপলক্ষে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতারা আজ জুরাইনে কবরস্থানে গিয়ে নিহত শ্রমিকদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করবেন। এ ছাড়া দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের দাবিতে রাজধানীর প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবেন শ্রমিকেরা।