চিনি নিয়ে চিন্তিত বাংলাদেশ ব্যাংক

চিনি
ফাইল ছবি

দেশের অস্থিতিশীল চিনির বাজার নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছে দেশের ব্যাংক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক। সংস্থাটি বলছে, চলতি বছর দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণ চিনি আমদানি হয়েছে। নতুন করে আরও চিনি আমদানি হচ্ছে। তবে চিনির বাজার স্থিতিশীল রাখতে বাজার তদারকির পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক আজ রোববার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে চিনি আমদানিতে ঘাটতি নেই। অচিরেই আরও এক লাখ টন চিনি আমদানি করা হচ্ছে। একটু তদারকি করলে চিনির বাজার স্বাভাবিক হবে বলে আমরা আশাবাদী।’

এদিকে দেশের বাজারে চাহিদার তুলনায় চিনির সরবরাহ কম। দেশের বিভিন্ন স্থানে বেশি দামেও চিনি মিলছে না। সংকটের কথা বলে সরকারের বেঁধে দেওয়া দরের চেয়ে কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা বেশি দামে চিনি বিক্রি হচ্ছে। এতে ৯০ টাকা দরের খোলা চিনির দাম প্রতি কেজি ১০৫ থেকে ১১০ টাকা।

আর সরকার নির্ধারিত ৯৫ টাকা দরের প্যাকেটজাত চিনি বাজার থেকে উধাও। অনেক ক্ষেত্রে প্যাকেট খুলে বাড়তি দামে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ৬ অক্টোবর খোলা চিনি ৯০ টাকা ও প্যাকেটজাত চিনির দাম ৯৫ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। কিন্তু বাস্তবে তা কার্যকর হয়নি। উল্টো সরবরাহঘাটতির কথা উল্লেখ করে দাম ক্রমশ বেড়ে চলেছে।

গত এক সপ্তাহে বাজারে হঠাৎ চিনির দাম হু হু করে বাড়তে থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাজার অভিযানে নেমেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। শনিবারের এক বিশেষ অভিযানে বাজারে চিনিসংকটের সত্যতা মিলেছে। সংস্থাটি সারা দেশে অভিযান চালিয়ে ১৪৮ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন অভিযোগে ৬ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানাও করেছে।