প্লাস্টিক পণ্যে ১০ শতাংশ প্রণোদনা বহাল চান ব্যবসায়ীরা

প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানিতে ২০২৬ সাল পর্যন্ত ১০ শতাংশ নগদ প্রণোদনা সহায়তা বহাল রাখার দাবি জানিয়েছেন এ খাতের ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলেন, নগদ সহায়তার হারে পরিবর্তন করা তা শিল্পের জন্য সহায়ক ও সময়োপযোগী নয়; বরং এটি প্লাস্টিক খাতসহ অন্যান্য শিল্পে অনাকাঙ্ক্ষিত ঝুঁকি ও বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজিএমইএ) বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক গত ৩০ জানুয়ারি এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্লাস্টিক খাতে নগদ সহায়তার পরিমাণ ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৮ শতাংশ করেছে। বিপিজিএমইএ নগদ সহায়তা পুনরায় ১০ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বিপিজিএমইএ সভাপতি সামিম আহমেদ বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে সরাসরি প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানির পরিমাণ ছিল ২০ কোটি ৯৮ লাখ মার্কিন ডলার। গত দুই দশকে এ খাতে গড়ে প্রায় ২০ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি হয়েছে। করোনা মহামারি ও রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধসহ বিভিন্ন বৈশ্বিক কারণে দেশে বর্তমানে একধরনের অর্থনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। এর সঙ্গে অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য, ঋণের সুদহার, শ্রমিকের মজুরি এবং পরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি ইত্যাদি বিষয় যুক্ত হয়েছে।

এসব কারণে প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানিতে বড় ধরনের সমস্যা তৈরি হয়েছে জানিয়ে সামিম আহমেদ বলেন, এমনকি আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতার সক্ষমতা কমে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ অবস্থায় রপ্তানিতে নগদ সহায়তা প্রত্যাহার হলে এ খাত বড় সংকটে পড়বে।

অনেক মধ্যম আয়ের দেশ শিল্পে সরাসরি প্রণোদনা না দিয়ে বিকল্প প্রণোদনা দিচ্ছে বলে জানান সামিম আহমেদ। তিনি বলেন, সে ধরনের বিকল্প ব্যবস্থা না করে হঠাৎ প্রচলিত ব্যবস্থা কর্তন করা শিল্প ও অর্থনীতির জন্য সহায়ক হবে না।

বিবৃতিতে বলা হয়, রপ্তানি ক্রয়াদেশ দেওয়ার সময় ভর্তুকিসহ হিসাব করে রপ্তানি পণ্যের দর নির্ধারণ করা হয়। ফলে পূর্বঘোষণা ছাড়া রপ্তানি প্রণোদনা পুনর্নির্ধারণের কারণে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে।

এ পরিস্থিতিতে ২০২৬ সাল পর্যন্ত প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানির বিপরীতে নগদ সহায়তা আগের মতো ১০ শতাংশ বহাল রাখার দাবি জানিয়েছে বিপিজিএমইএ।