পরিবেশবান্ধব সনদ পেল আরেকটি কারখানা, এ নিয়ে মোট ২১৮টি

বাংলাদেশের নতুন একটি রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানা পরিবেশবান্ধব সনদ পেয়েছে। এ কারখানাটি হচ্ছে ঢাকার উত্তরখান এলাকার কেসি জ্যাকেটওয়্যার কোম্পানি। কারখানাটি লিড প্লাটিনাম সনদ পেয়েছে।

এ নিয়ে দেশে তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতে পরিবেশবান্ধব কারখানার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২১৮।

তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল আজ বুধবার বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ১২টি তৈরি পোশাক কারখানা পরিবেশবান্ধব সনদ পেয়েছে; এর মধ্যে আটটি প্লাটিনাম ও চারটি গোল্ড ক্যাটাগরির।

কারখানাটি যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) থেকে পরিবেশবান্ধব সনদ পেয়েছে। এই সনদ পাওয়ার জন্য একটি প্রতিষ্ঠানকে কয়েকটি শর্ত পরিপালন করতে হয়। মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে কোনো কারখানা ৮০-এর বেশি পেলে ‘লিড প্লাটিনাম’, ৬০-৭৯ পেলে ‘লিড গোল্ড’, ৫০-৫৯ নম্বর পেলে ‘লিড সিলভার’ ও ৪০-৪৯ নম্বর পেলে ‘লিড সার্টিফায়েড’ সনদ দেওয়া হয়।

বিজিএমইএ জানায়, নতুন সনদ পাওয়া কেসি জ্যাকেটওয়্যার কোম্পানি ৮৪ নম্বর পেয়েছে।

বিশ্বের বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান পরিবেশবান্ধব স্থাপনার সনদ দিয়ে থাকে। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি)। ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ইউএসজিবিসি যে সনদ দেয়, তার নাম ‘লিড’। লিডের পূর্ণাঙ্গ রূপ হলো, লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন। এ সনদ পেতে প্রতিটি প্রকল্পকে ইউএসজিবিসির তত্ত্বাবধানে স্থাপনা নির্মাণের কাজ থেকে শুরু করে উৎপাদন পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ে মান রক্ষা করতে হয়।

বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ১০টি পরিবেশবান্ধব কারখানার ৯টিই এখন বাংলাদেশে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে বিশ্বের শীর্ষ পরিবেশবান্ধব কারখানার স্বীকৃতি পেয়েছে গাজীপুরের কোনাবাড়ীর এসএম সোর্সিং। ১১০ নম্বরের মধ্যে কারখানাটি ১০৬ পেয়েছে। দেশের অন্য শীর্ষস্থানীয় পরিবেশবান্ধব কারখানাগুলো হচ্ছে ময়মনসিংহের গ্রিন টেক্সটাইল, গাজীপুরের নিট এশিয়া ও ইন্টিগ্রা ড্রেসেস, নারায়ণগঞ্জের রেমি হোল্ডিংস ও ফতুল্লা অ্যাপারেলস, গাজীপুরের লিডা টেক্সটাইল অ্যান্ড ডাইং ও লিজ ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিজ এবং মানিকগঞ্জের তারাসিমা অ্যাপারেলস।

বিজিএমইএর তথ্যানুযায়ী, পরিবেশবান্ধব ২১৮ কারখানার মধ্যে লিড প্লাটিনাম ৮৪টি, লিড গোল্ড ১২০, লিড সিলভার ১০ ও সার্টিফায়েড ৪টি। অর্থাৎ ৩৮ দশমিক ৫৩ শতাংশ কারখানা লিড প্লাটিনাম সনদ পেয়েছে।