বাণিজ্য সংগঠনের কমিটির মেয়াদ এক বছর বাড়ানোর সুযোগ করে দিচ্ছে সরকার

বেশি সময় কমিটিতে থাকার জন্য দেশের সব বাণিজ্য সংগঠনের জন্য নতুন সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। এত দিন বাণিজ্য সংগঠনগুলোর কমিটির মেয়াদ শেষ হলে বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে ছয় মাস পর্যন্ত সময় বাড়ানোর সুযোগ ছিল। জাতীয় সংসদে আইন পাস হলে এখন সেই সুযোগ ছয় মাসের স্থলে হবে এক বছর।

সোমবার এ সুবিধা দিয়ে বাণিজ্য সংগঠন (সংশোধন) আইন ২০২৩–এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে আইনের খসড়াটি অনুমোদিত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

মাহবুব হোসেন বলেন, এত দিন ছিল বাণিজ্য সংগঠন অধ্যাদেশ ১৯৬১। ১৯৮৪ সালে তা একবার সংশোধন করা হয়। পরে ২০২২ সালে আইনটি নতুন করে বাংলা করা হয়। নতুন আইনে কিছু ধারা সংশোধনের জন্য মন্ত্রিসভায় প্রস্তাব পাঠায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং (পরীক্ষা-নিরীক্ষা) শেষে আজ মন্ত্রিসভায় তা চূড়ান্ত অনুমোদন পায়।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এ আইনে মূল যে বিষয় আছে সেটা হলো, কোনো বাণিজ্যিক সংগঠনের যদি নির্বাচন করতে অসুবিধা হয়, তখন আগের কমিটি নির্বাচনের জন্য ছয় মাস সময় পেত। সেই সময় আরও ছয় মাস বাড়িয়ে করা হয়েছে এক বছর।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, মূলত তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর বর্তমান কমিটিকে সুবিধা দিতেই বাণিজ্য সংগঠন আইনের খসড়ায় নতুন ধারাটি যুক্ত করা হচ্ছে। গত এপ্রিলে বিজিএমইএর বর্তমান পর্ষদের নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে মেয়াদ ছয় মাস বাড়িয়ে নেন সভাপতি ফারুক হাসান।

পর্ষদের অতিরিক্ত মেয়াদ শেষ হবে অক্টোবরে। আইন অনুযায়ী, নির্বাচনের ৯০ দিন আগে নির্বাচন বোর্ড গঠন এবং ৮০ দিন আগে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার বাধ্যবাধকতা থাকলেও বর্তমান পর্ষদ তা করেনি।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন দাবি করে বিজিএমইএর নির্বাচনকালীন জোট ফোরাম। ৩ আগস্ট বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য সংগঠন অনুবিভাগের মহাপরিচালকের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ দেয় তারা। এতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচনপ্রক্রিয়া শুরু না করায় বর্তমান সভাপতির বিরুদ্ধে আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ আনে ফোরাম।