বেসরকারি ঋণের প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা বড় চ্যালেঞ্জ: ঢাকা চেম্বার সভাপতি

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি আশরাফ আহমেদ আজ মঙ্গলবার পুঁজিবাজার বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরাম (সিএমজেএফ) আয়োজিত ‘সিএমজেএফ টক’ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেনছবি সংগৃহীত

ডলারের বিপরীতে টাকার বড় ধরনের অবমূল্যায়নের কারণে ব্যবসা–বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলোর চলতি মূলধনের চাহিদা ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বেড়ে গেছে। চলতি মূলধনের এ চাহিদা পূরণ করাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। এ চাহিদা পূরণ করা সম্ভব না হলে ব্যবসার খরচ কমাতে হবে। তাতে কমবে উৎপাদন, সংকুচিত হবে কর্মসংস্থান। এ অবস্থায় চলতি বছর বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি ধরে রাখায় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন ঢাকা চেম্বারের সভাপতি আশরাফ আহমেদ।

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি আজ মঙ্গলবার পুঁজিবাজার বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরাম (সিএমজেএফ) আয়োজিত ‘সিএমজেএফ টক’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। রাজধানীর পুরোনো পল্টন সিএমজেএফ কার্যালয়ে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আবু আলীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়। স্বাগত বক্তব্য দেন সিএমজেএফ সভাপতি গোলাম সামদানী ভূঁইয়া।

অনুষ্ঠানে ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, দেশে এখনো ডলার–সংকট চলছে। ব্যাংকগুলোর হাতে যথেষ্ট পরিমাণে ডলার মজুত নেই। এ জন্য আমদানি সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। আমদানি কমে গেলে উৎপাদনে তার বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এমনিতেই গত দেড়–দুই বছর ধরে অর্থনীতি নানা চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। মূল্যস্ফীতি এখন আমাদের প্রধান সমস্যা।

অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নেরও উত্তর দেন আশরাফ আহমেদ। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অর্থ পাচার বা অন্য কোনো অনিয়মে যেসব ব্যবসায়ী জড়িত দায় শুধু তাদেরই। কোনো একজন ব্যবসায়ীর অনিয়মের দায় সব ব্যবসায়ীর ওপর বর্তায় না। অর্থ পাচার শুধু অর্থনৈতিক কারণে হয় না। অর্থের ধর্মই হলো লাভ যেখানে বেশি, সেখানেই যাবে। কিন্তু বিদেশের চেয়ে দেশে বিনিয়োগে রিটার্ন বেশি। তারপরও দেশ থেকে অর্থ বাইরে চলে যায়। তাই অর্থ পাচার শুধু অর্থনৈতিক কারণে হয় না, এর পেছনে অন্য কারণও থাকতে পারে।

পুঁজিবাজার বিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে আশরাফ আহমেদ বলেন, ‘ব্যাংক থেকে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ নেওয়া খুবই কঠিন। সেই তুলনায় পুঁজিবাজার থেকে মূলধন সংগ্রহ করা সহজ। তবে পুঁজিবাজার থেকে পুঁজি সংগ্রহ করাটা কিছুটা সময়সাপেক্ষ। তাই আমাদের দেশে ব্যাংকঋণনির্ভরতা বেশি।’

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, ‘আমরা সরকারের সঙ্গে বিভিন্ন নীতি বাস্তবায়নে কাজ করতে পারি। বর্তমান বাস্তবতায় দেশে অনেকগুলো নতুন ধরনের শিল্প গড়ে উঠছে। স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশনের সঙ্গে সক্ষমতা বাড়ানো গেলে দেশের অর্থনীতি ট্রিলিয়ন (এক লাখ কোটি) ডলারে উন্নীত করা সম্ভব।