জানা যায়, সৈয়দ আলমগীরের নেতৃত্বে দেশের একটি শিল্প গ্রুপের নতুন একটি সাবান বাজারের সুপরিচিত সব ব্র্যান্ডকে পেছনে ফেলে ১ নম্বরে উঠে গেল শুধু একটি স্লোগানের জোরে। স্লোগানটি ছিল ‘শতভাগ হালাল সাবান’, যা এসেছিল সৈয়দ আলমগীরের মাথা থেকে।
এমজিআইয়ে যোগ দেওয়ার আগে সৈয়দ আলমগীর আকিজ ভেঞ্চারসের গ্রুপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার আগে তিনি এসিআই গ্রুপ, যমুনা গ্রুপে গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। এমজিআই জানিয়েছে, সৈয়দ আলমগীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটে (আইবিএ) পড়াশোনা শেষে যুক্তরাজ্যের ওষুধ কোম্পানি মে অ্যান্ড বেকারে কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর ১৯৯২ সালে তিনি বিপণন পরিচালক হিসেবে যোগ দেন যমুনা গ্রুপে। পদোন্নতি পেয়ে তিনি হন ব্যবস্থাপনা পরিচালকও। ১৯৯৮ সালে তিনি যোগ দেন এসিআই গ্রুপে। সেখানে তিনি এসিআই কনজ্যুমার ব্র্যান্ডস, এসিআই সল্ট, এসিআই পিওর ফ্লাওয়ার ও এসিআই ফুডসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। সর্বশেষ তিনি ছিলেন আকিজ ভেঞ্চারসের গ্রুপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
বড় বড় শিল্প গ্রুপের বড় পদে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সৈয়দ আলমগীর বেসরকারি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয় ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন ফ্যাকাল্টি হিসেবেও যুক্ত ছিলেন।
এমজিআই বলছে, দেশের কিংবদন্তি বিপণন ব্যক্তিত্ব সৈয়দ আলমগীরের যোগদান এ গ্রুপের কাজের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত ও ব্যবসায়িক উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
২০১৯ সালে প্রথম আলোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সৈয়দ আলমগীর বলেছিলেন তাঁর জীবন বদলে দেওয়ার পেছনে তিনটি সিদ্ধান্ত বড় ভূমিকা রেখেছে। সিদ্ধান্তগুলো হলো এক. সরকারি চাকরিতে যোগ না দিয়ে বেসরকারি খাতে আসা। দুই. যমুনা গ্রুপে যোগ দেওয়া। তিন. এসিআইয়ে যোগ দেওয়া। সৈয়দ আলমগীর বলেন, ‘যমুনায় যোগ দিয়ে আমি বৃহত্তর পরিসর পেয়েছি। যমুনায় শুরুতেই ১১টি কোম্পানি আমার অধীনে ছিল। সেগুলোকে আমি বড় করেছি। যমুনায় যুক্ত না হলে পেগাসাস কেডস ও এক শ ভাগ হালাল সাবান আমি করতে পারতাম না। এসিআইয়ে আসা খুব ভালো সিদ্ধান্ত ছিল। এটির কনজ্যুমার ব্র্যান্ডস বিভাগ খুব ছোট ছিল। সেটিকে অনেক বড় করেছি। এসিআইয়ে এসে আমি লবণের দেশসেরা ব্র্যান্ডটি তৈরি করেছি।’