দেশের ৫৮ স্থান থেকে প্লাস্টিক পরিষ্কার করবে প্রাণ–আরএফএল গ্রুপ

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রাণ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইলিয়াছ মৃধা ও আরএফএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরএন পাল
ছবি- বিজ্ঞপ্তি

পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে ‘লেটস সেভ দ্য প্ল্যানেট’ নামে একটি প্রচারণা শুরু করতে যাচ্ছে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ। আগামী ২ জুন থেকে এ প্রচারণা শুরু হবে। রাজধানীর হাতিরঝিলে অ্যাম্পিথিয়েটারে লেটস সেভ দ্য প্ল্যানেট প্রচারণার উদ্বোধন করবেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

বুধবার রাজধানীর বাড্ডায় প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রাণ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইলিয়াছ মৃধা ও আরএফএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরএন পাল।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রচারণার অংশ হিসেবে ২ জুন সারা দেশের ৫৮টি স্থানে পড়ে থাকা বিভিন্ন ধরনের আবর্জনা, বিশেষ করে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক পরিষ্কার করা হবে। পাশাপাশি মানুষ যেন যত্রতত্র ময়লা–আবর্জনা না ফেলে এ ব্যাপারে সচেতনতা তৈরি করা হবে।

এ বিষয়ে প্রাণ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইলিয়াছ মৃধা বলেন, প্লাস্টিকের কাঁচামাল পচনশীল না হওয়ায় এটি পরিবেশদূষণের অন্যতম কারণে পরিণত হয়েছে। তবে সঠিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে পারলে পরিবেশকে এ দূষণের হাত থেকে অনেকাংশে রক্ষা করা সম্ভব। দেশের শীর্ষস্থানীয় গৃহস্থালি ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে দায়িত্বশীলতার জায়গা থেকে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ প্লাস্টিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে।

আরএফএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরএন পাল বলেন, ‘২০১২ সালে প্লাস্টিক পণ্য রিসাইক্লিংয়ের (পুনর্ব্যবহার) কাজ শুরু করি আমরা। এ কাজে এখন পর্যন্ত ৩৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। প্রতিবছর সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকসহ প্রায় ৩২ হাজার টন বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিক রিসাইক্লিং করে শতাধিক ধরনের পণ্য বানানো হচ্ছে।’

আরএন পাল আরও জানান, পিইটি বোতল ও পিইটি–জাতীয় প্যাকেজিংয়ের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে বাংলাদেশে। এ ভাবনা থেকে প্রাণ-আরএফএল এ খাতে আগামী দুই বছরের মধ্যে পিইটি বোতলের রিসাইক্লিং প্ল্যান্ট করার পরিকল্পনা করছে। এ জন্য প্রাথমিকভাবে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে।

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ ২০৩০ সালের মধ্যে ভার্জিন প্লাস্টিকের ব্যবহার এক-তৃতীয়াংশে নামিয়ে আনবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। একই সঙ্গে শতাধিক প্লাস্টিক সংগ্রহ কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রাণ–আরএফএলের উৎপাদনের প্রায় ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ প্লাস্টিক রিসাইক্লিংয়ের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন টেল প্লাস্টিকের নির্বাহী পরিচালক কামরুল ইসলাম, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের করপোরেট ব্র্যান্ডের প্রধান নুরুল আফসার, সহকারী মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তৌহিদুজ্জামান প্রমুখ।