দেশের শিল্পে বিশ্বসেরা প্রযুক্তির ঢেউ

ইস্পাত-সিমেন্ট, তৈরি পোশাক ও বস্ত্র, প্লাস্টিক, আসবাব, প্রক্রিয়াজাতকরণসহ অনেক শিেল্প এখন ব্যাপক হারে বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতির ব্যবহার বাড়ছে।

মুন্সিগঞ্জে প্রিমিয়ার সিমেন্টের কারখানার একাংশ। এই কারখানায় ব্যবহৃত হয়েছে এফএলস্মিথের ভার্টিক্যাল রোলার মিল
ছবি: প্রথম আলো

বাংলাদেশে উন্নত প্রযুক্তির রড তৈরির কারখানা দেখতে ভারত থেকে ছুটে এসেছিল সেই দেশের বিখ্যাত কোম্পানি টাটা স্টিলের প্রতিনিধিদল। পাঁচ মাস আগে তারা চট্টগ্রামের জিপিএইচ ইস্পাত কারখানায় কোয়ান্টাম ইলেকট্রিক আর্ক ফার্নেস ও উইনলিংক প্রযুক্তিতে রড উৎপাদনের প্রক্রিয়া ঘুরে দেখে। জিপিএইচ এই প্রযুক্তি এনেছে অস্ট্রিয়ার প্রাইমেটালস টেকনোলজিস থেকে। বদৌলতে জিপিএইচ ইস্পাত হয়ে গেল কোয়ান্টামের সঙ্গে উইনলিংক প্রযুক্তি ব্যবহারকারী বিশ্বের প্রথম কারখানা।

এক দশক আগে বাংলাদেশের চারটি শিল্প গ্রুপের কর্ণধারেরা টাটা স্টিলের মতো কারখানা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। যদিও সে উদ্যোগ ভেস্তে গেছে। যা-ই হোক, সেই টাটার প্রতিনিধিরাই বাংলাদেশে সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে কীভাবে রড উৎপাদিত হচ্ছে, তা দেখতে এসেছেন। টাটা স্টিলের হেড অব ইঞ্জিনিয়ারিং সন্তোষ কুমার মৌরয়ার নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলটি অভিজ্ঞতা নিতে বাংলাদেশে কারখানা পরিদর্শন করে বলে জানান জিপিএইচ ইস্পাতের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আলমাস শিমুল।

সনাতন প্রযুক্তিতে উৎপাদনক্ষমতা ও পণ্যের গুণগত মান চূড়ান্ত পর্যায়ে উন্নীত করা যায় না। উন্নত প্রযুক্তিতে তা সম্ভব। উন্নত প্রযুক্তি বিদ্যুৎসাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব হওয়ায় তা ব্যবহারের মাধ্যমে উন্নত মানের পণ্য তৈরি করা যায়।
আমিরুল হক, প্রিমিয়ার সিমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক
হাতিলের কারখানায় আসবাবে লেকার স্প্রে করতে ব৵াবহার হচ্ছে এই েরাবট
ছবি: হাতিল

আকরিক থেকে ইস্পাত উৎপাদনকারী টাটা এখন পুরোনো লোহা গলিয়ে ইস্পাত উৎপাদনে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করতে চায়। তারা উত্তর ভারতের পাঞ্জাবে প্রথম ‘কোয়ান্টাম ইলেকট্রিক আর্ক ফার্নেস’ ব্যবহার করে রড উৎপাদনের কারখানা গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছে, যেটি জিপিএইচ ইস্পাত পরিকল্পনা করেছিল ছয় বছর আগে। টাটার মতো যুক্তরাষ্ট্রের ভিন্টন স্টিলের প্রতিনিধিরাও গত মাসে জিপিএইচের কারখানাটি ঘুরে দেখেছেন। প্রাইমেটালস টেকনোলজিস তাদের নতুন প্রযুক্তির সাফল্য দেখাতে বিদেশিদের বাংলাদেশে নিয়ে আসছে।

ইস্পাত খাতের শুরুটা হয়েছিল ইনডাকশান ফার্নেস বা আনয়ন চুল্লিতে রড উৎপাদনের মাধ্যমে। ২০১০ সালের আগপর্যন্ত এই প্রযুক্তির ব্যবহার ছিল শতভাগ। এক যুগ আগে বাংলাদেশে প্রথম ইলেকট্রিক আর্ক ফার্নেস বা বৈদ্যুতিক চুল্লিতে রড উৎপাদনের প্রযুক্তি নিয়ে আসে আবুল খায়ের গ্রুপ। এরপর এই তালিকায় যুক্ত হয় জিপিএইচ। তাদেরটা ইলেকট্রিক আর্ক ফার্নেসের সবচেয়ে উন্নত সংস্করণ। এ দুটি প্রতিষ্ঠানের হাত ধরে দেশের ইস্পাত খাতে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারের ঢেউ লাগে। এখন নতুন করে যারা আসছে, তারাও ইলেকট্রিক আর্ক ফার্নেস প্রযুক্তিতে রড উৎপাদনের পরিকল্পনা করছে।

জিপিএইচ ইস্পাতের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, উন্নত প্রযুক্তিতে সর্বোচ্চ গুণগত মানের পণ্য উৎপাদন করা যায়। আবার উন্নত প্রযুক্তিগুলো পরিবেশবান্ধব এবং কার্বন নিঃসরণ করে কম। এর মাধ্যমে গুণগত মানের পণ্য তৈরি হওয়ায় তা পরিমাণে কম ব্যবহার করতে হয়। এতে গ্রাহক পর্যায়ে খরচও কম হয়।

বাংলাদেশে শিল্পায়নের শুরুটা হয়েছিল বিদেশ থেকে পুরোনো যন্ত্রপাতি এনে কারখানা স্থাপনের মাধ্যমে। এশিয়া হয়ে ইউরোপের নতুন যন্ত্রপাতি ব্যবহারও শুরু হয় এই তো সেদিন, মাত্র দুই দশক আগে। নতুন শতকের দ্বিতীয় দশকে শুরু হয়েছে বিশ্বসেরা প্রযুক্তির ব্যবহার। ভারী শিল্প থেকে শুরু করে উৎপাদনমুখী ও প্রক্রিয়াজাত পণ্য উৎপাদন কারখানায় যন্ত্রপাতি পরিচালনায় প্রয়োগ হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। ব্যবহার হচ্ছে রোবোটিকস প্রযুক্তি। এখানকার কারখানায় উৎপাদন প্রযুক্তিতে কোনো সমস্যা হলে তা ইউরোপে বসেই অনলাইনে সমাধান করে দিচ্ছে যন্ত্রপাতি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। হাতের ছোঁয়া ছাড়াই কাঁচামাল থেকে পণ্য উৎপাদিত হচ্ছে। তাতে পণ্যের গুণগত মান বাড়ছে।

‘ইউরোপে নতুন কোনো উন্নত প্রযুক্তি বা যন্ত্রের প্রদর্শনী হলে সেটির প্রথম গন্তব্য হয় বাংলাদেশ। আমাদের দেশের উদ্যোক্তারা সাহসী বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। তরুণদের মধ্যে যাঁরা এখন দায়িত্ব নিচ্ছেন, তাঁরা প্রথমেই উন্নত প্রযুক্তিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। এভাবে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে বাংলাদেশে শিল্পায়ন ত্বরান্বিত হবে।’
মির্জা সালমান, ইস্পাহানি গ্রুপ কোম্পানির চেয়ারম্যান

শুধু ইস্পাতশিল্পেই নয়, উৎপাদনমুখী বহু খাতেই পুরোনো প্রযুক্তি দূরে ঠেলে দিচ্ছেন বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা। তাঁরা দিন দিন উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারে এগিয়ে আসছেন। সিমেন্ট, আসবাব, পোশাক ও বস্ত্র, ভোগ্যপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও প্লাস্টিক—এমন বহু খাতে ব্যবহার শুরু হয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি।

সিমেন্ট খাতেও শুরু

ইস্পাতের মতো দেশের সিমেন্ট খাতেও বিশ্বসেরা প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়েছে। প্রচলিত ‘বল’ মিলের পরিবর্তে ভার্টিক্যাল রোলার মিলের ব্যবহার শুরু হয় এক দশক আগে। এখন এই প্রযুক্তির নতুন নতুন সংস্করণ আসছে। ২০১৮ সালে আবুল খায়ের গ্রুপ মুন্সিগঞ্জে তাদের শাহ সিমেন্টে স্থাপন করে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভার্টিক্যাল রোলার মিল বা ভিআরএম। আকারে বৃহৎ এবং সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ের কারণে এই ভিআরএমকে ‘পৃথিবীর একক বৃহত্তমমিহিসেবে সত্যায়িত ও নথিভুক্ত করেছে গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস। নতুন ভার্টিক্যাল রোলার মিলে সর্বাধুনিক ডিজিটাল ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি সংযুক্ত করা হয়েছে। শাহ সিমেন্টকে বিদ্যুৎসাশ্রয়ী ও উন্নতমানের সিমেন্ট তৈরির এই প্রযুক্তি সরবরাহ করেছে ডেনমার্কের এফএলস্মিথ।

এবার শাহ সিমেন্টের পর প্রিমিয়ার সিমেন্টও একই প্রযুক্তির উন্নত সংস্করণ নিয়ে আসছে। যন্ত্রপাতিতে ডিজিটালাইজেশনের সব সুবিধা আছে তাতে। ডেনমার্কের যন্ত্রপাতি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এফএলস্মিথের সাফল্যের গল্প লেখা হয়েছে বাংলাদেশের এই দুটি কারখানা নিয়েই।

জানতে চাইলে প্রিমিয়ার সিমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিরুল হক প্রথম আলোকে বলেন, সনাতন প্রযুক্তিতে উৎপাদনক্ষমতা ও পণ্যের গুণগত মান চূড়ান্ত পর্যায়ে উন্নীত করা যায় না। উন্নত প্রযুক্তিতে তা সম্ভব। উন্নত প্রযুক্তি বিদ্যুৎসাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব হওয়ায় তা ব্যবহারের মাধ্যমে উন্নত মানের পণ্য তৈরি করা যায়।

প্লাস্টিক শিল্পেও নতুন প্রযুক্তি

প্লাস্টিক শিল্পেও এসেছে নতুন প্রযুক্তির ঢেউ। নারায়ণগঞ্জের মেঘনা ঘাটে অবস্থিত মেঘনা অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্লাস্টিক শিল্পের কাঁচামাল তৈরির নতুন কারখানা মেঘনা পিভিসি লিমিটেডে তেমন প্রযুক্তিই ব্যবহার করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত অক্সিভিনাইল কোম্পানি, ফ্রান্সের কেম ওয়ান ও জার্মানির ওরলিকন কোম্পানির প্রযুক্তি ব্যবহার হয়েছে এই কারখানায়। গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে এই কারখানায় প্লাস্টিক শিল্পের কাঁচামাল পিভিসি ও পেট রেজিন তৈরি হচ্ছে। প্রায় চার হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে এই প্রকল্পে।

মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল প্রথম আলোকে জানান, বিশ্বসেরা প্রযুক্তি ব্যবহারে পণ্যের মান ও কার্যক্ষমতার সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়া যায়। তাই এমজিআইয়ের নতুন নতুন কারখানায় সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার হয়েছে। সামনে ইস্পাত ও কাচ খাতের নতুন দুই কারখানায় সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রক্রিয়া চলছে।

ভোগ্যপণ্য প্রক্রিয়াকরণে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা

ভোগ্যপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানায়ও লেগেছে প্রযুক্তির ঢেউ। গত বছরের শুরুতে সিটি গ্রুপ শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে তিন হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে চালু করেছে রূপসী বাংলা ফ্লাওয়ার মিল নামে নতুন কারখানা। এতে সুইজারল্যান্ডের বুহলার গ্রুপ উন্নত প্রযুক্তি সরবরাহ করেছে।

বুহলার গ্রুপের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, বিশ্বের বৃহত্তম কারখানাগুলোর একটি রূপসী বাংলা। এই কারখানায় কাঁচামাল থেকে পণ্য উৎপাদনের সবকিছুই পরিচালিত হয় স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে। তাতে গমের গায়ের ময়লা থেকে শুরু করে আলাদা উপাদান, পাথর সবকিছুই স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে সরিয়ে নেওয়া হয়। গমের পুষ্টিগুণ কেমন, তা–ও উঠে আসে মনিটরে। দিনে এই কারখানার উৎপাদন সক্ষমতা ৬ হাজার ১৫০ টন।

আসবাব উৎপাদনে রোবট

আসবাব উৎপাদনেও রোবটসহ অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে। এ ক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় আসবাব ব্র্যান্ড হাতিল। তাদের কারখানা সাভারের জিরানীতে বিকেএসপির পাশে। হাতিলের অনেক আসবাবই ছোট ছোট অংশ বানিয়ে জোড়া দেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে প্রতিটি ধাপেই উন্নত মানের যন্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে।

আসবাবে লেকার স্প্রে করতে ২০১৮ সালে হাতিলের কারখানায় রোবট স্থাপন করা হয়। ইতালি থেকে আমদানি করা এই রোবটের চারটি হাত রয়েছে। সেই হাতের ওপর চেয়ার কিংবা অন্য আসবাব বসিয়ে দেওয়া হয়। কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত সেই রোবটের ওপরের একটি অংশ থেকে চেয়ারে লেকার স্প্রে করা হয় স্বয়ংক্রিয়ভাবে। গত বছর আসবাবে লেকার স্প্রে করতে নতুন আরেকটি রোবট উৎপাদন প্রক্রিয়ায় যুক্ত করে হাতিল।

জানতে চাইলে হাতিলের পরিচালক শফিকুর রহমান বলেন, ‘অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে উৎপাদন ব্যবস্থায় ছোটখাটো দুর্ঘটনার হার কমে গেছে। আগে কারখানার ভেতরটা সারাক্ষণ ধুলাবালুতে আচ্ছন্ন থাকত। বর্তমানে সেটি আর নেই। এই দুটি জায়গায় উন্নতি হওয়ায় কর্মীরা বেশি উপকৃত হয়েছেন। তা ছাড়া পণ্যের গুণগত মান ও উৎপাদনশীলতা বেড়েছে।’

অটোমেশনে পোশাক কারখানা

তৈরি পোশাক ও বস্ত্র দেশের শীর্ষ পণ্য রপ্তানি খাত। পোশাক ও বস্ত্র খাতের বয়স চার দশক পার করেছে। ফলে তৈরি পোশাক উৎপাদনের বিভিন্ন পর্যায়ে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি অনেক দিন ধরেই ব্যবহৃত হচ্ছে। বর্তমানে অটোমেশন তথা স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা চালুতে জোর দিচ্ছে কারখানাগুলো।

উর্মি গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ফখরুদ্দিন টেক্সটাইল মিলস। গাজীপুরের শ্রীপুরের এই কারখানা ডিজিটাল পদ্ধতিতে গুদামে সুতা ও কাপড় সংরক্ষণব্যবস্থা চালু করেছে।

প্রতিদিন কারখানায় শত শত সুতার কার্টন আসে। সেগুলো বড় টালি খাতায় লিপিবদ্ধ করে গুদামে রাখা হতো। এরপর যেদিন কাপড় তৈরির জন্য সেই সুতার দরকার পড়ে, সেদিন কিন্তু তা পাওয়া যেত না। তাতে সময় ও অর্থ দুটোরই অপচয় হতো। এই সমস্যার সমাধানে সফটওয়্যার এবং রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেনটিফিকেশন (আরএফআইডি) প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করে কারখানাটি। ফলে এখন সুতা বা কাপড় হারিয়ে যাওয়া বন্ধ হয়েছে। কারখানার উৎপাদনশীলতাও বেড়েছে।

শিল্পায়ন ত্বরান্বিত হবে

বাংলাদেশে এখন সবচেয়ে পুরোনো কোম্পানি ইস্পাহানি গ্রুপ। প্রায় ২০০ বছরের পুরোনো এই কোম্পানির চেয়ারম্যান মির্জা সালমান ইস্পাহানি সম্প্রতি প্রথম আলোকে বলেন, ‘ইউরোপে নতুন কোনো উন্নত প্রযুক্তি বা যন্ত্রের প্রদর্শনী হলে সেটির প্রথম গন্তব্য হয় বাংলাদেশ। আমাদের দেশের উদ্যোক্তারা সাহসী বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। তরুণদের মধ্যে যাঁরা এখন দায়িত্ব নিচ্ছেন, তাঁরা প্রথমেই উন্নত প্রযুক্তিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। এভাবে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে বাংলাদেশে শিল্পায়ন ত্বরান্বিত হবে।’