আট মাসে পোশাকের দাম কমেছে ৮-১৬ শতাংশ: বিজিএমইএর সভাপতি

সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন বিজিএমইএর সভাপতি এস এম মান্নান। আজ শনিবার ঢাকার সোনারগাঁও হোটেলেছবি: সংগৃহীত

গত আট মাসে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হওয়া তৈরি পোশাকের রপ্তানি মূল্য আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৮-১৬ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে বলে মন্তব্য করেছেন তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি এস এম মান্নান।

এস এম মান্নান বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন ও ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ এবং উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে বৈশ্বিক পোশাক আমদানি কমেছে যথাক্রমে ৭ ও ১৩ শতাংশ। গত আট মাসে আমাদের প্রধান রপ্তানি পণ্যের দরপতন হয়েছে ৮-১৬ শতাংশ। ফলশ্রুতিতে চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) তৈরি পোশাক রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৫ দশমিক ৭৭ শতাংশ কম হয়েছে।’

রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আজ শনিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন বিজিএমইএর সভাপতি এস এম মান্নান।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আতিকুল ইসলাম, সংসদ সদস্য ও বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী, আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক এবং বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান, বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম, সহসভাপতি আরশাদ জামাল, মো. নাসির উদ্দিন, মিরান আলী, আবদুল্লাহ হিল রাকিব, রকিবুল আলম চৌধুরী প্রমুখ।

তৈরি পোশাকের রপ্তানি ১০০ বিলিয়ন বা ১০ হাজার কোটি ডলারে নিতে সরকারের নীতিসহায়তা দরকার বলে মন্তব্য করেন বিজিএমইএর সভাপতি। তিনি বলেন, ‘আমরা ২০৩০ সাল নাগাদ পোশাকশিল্প থেকে ১০০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছি। এই লক্ষ্য অর্জনে সরকারের নীতিসহায়তা আমাদের প্রয়োজন। সহায়তা না পেলে লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের সহযোগিতা কোনো কারণে বন্ধ হলে আমরা প্রতিযোগিতা সক্ষমতা হারাব, বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হবে।’

বিজিএমইএর সভাপতি আরও বলেন, ‘আগামী বাজেটে আমরা বেশ কিছু নীতি সহায়তা চেয়েছি।’ তাঁর দেওয়া তথ্যানুযায়ী, বিজিএমইএর দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য তৈরি পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে দশমিক ৫০ শতাংশ করা এবং তা পাঁচ বছর পর্যন্ত কার্যকর রাখা। নগদ সহায়তার ওপর আয়কর কর্তনের হার ১০ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ৫ শতাংশ করার পাশাপাশি তা ২০২৯ সাল পর্যন্ত অব্যাহত রাখা ইত্যাদি।

সরকার এখন থেকে অর্থনৈতিক অঞ্চল ও শিল্প এলাকার বাইরের আর কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে বিদ্যুৎ ও গ্যাস-সংযোগ দেবে না। গত ২১ মার্চ অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ প্রসঙ্গে বিজিএমইএর সভাপতি বলেন, ‘বাস্তবতা হচ্ছে অনেক কারখানা ইতিমধ্যে শত শত কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। এখন গ্যাস ও বিদ্যুৎ–সংযোগ না পেলে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ করেছি যেন এই সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয়।’