গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধিতে উৎপাদন ব্যয় বাড়বে, কমে যাবে সক্ষমতা

ডলার-সংকটের কারণে কাঁচামাল আমদানির ঋণপত্র খুলতেও হিমশিম খাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। আবার কাঁচামালের উচ্চ মূল্য, গ্যাস–বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি বাড়িয়ে দিয়েছে পণ্যের উৎপাদন খরচ। এ মুহূর্তে ব্যবসার বড় সংকট কী, তা জানিয়েছেন ছোট, মাঝারি ও বড় ছয় উদ্যোক্তা ও কোম্পানির শীর্ষ কর্মকর্তা। 

মোহাম্মদ তানভীর

শিল্পভেদে গ্যাসের দাম এক দফায় অত্যধিক বাড়ানো হয়েছে। তার আগে বিদ্যুতের দামও বেড়েছে। তাতে গ্যাস-বিদ্যুৎসহ পরিষেবার পেছনে আমাদের ব্যয় আগের চেয়ে ৪০ শতাংশ বাড়বে। বর্তমান চ্যালেঞ্জিং সময়ে এটি আমাদের জন্য বড় এক সমস্যা।

আমরা মূলত ডেনিম পোশাক রপ্তানি করি। আমাদের প্রধান প্রতিযোগী দেশ পাকিস্তান ও তুরস্ক। ডলারের বিপরীতে দেশ দুটোর মুদ্রার অবমূল্যায়নের কারণে তাদের উদ্যোক্তারা আমাদের চেয়ে সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে। কারণ, ডলারের বিপরীতে আমাদের টাকার অবমূল্যায়ন তুলনামূলক কম হয়েছে। এর সঙ্গে নতুন করে গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি যুক্ত হওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। আমাদের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা কমে গেছে। এদিকে পোশাকের উৎপাদন ব্যয় বাড়লেও বিদেশি ক্রেতারা বাড়তি দাম দিতে চায় না। উল্টো উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে পোশাকের চাহিদা কমে যাওয়ার অজুহাত দেখিয়ে দাম কমানোর চাপ দিচ্ছে। উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় সামনের দিনগুলোতে ক্রয়াদেশ হারাতে হতে পারে। তাতে মুনাফায় টান পড়বে।

আরও পড়ুন

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে চার-পাঁচ মাস ধরে তৈরি পোশাকের ক্রয়াদেশে ভাটা চলছে। বড়দিনের পর ক্রয়াদেশ আসার পরিমাণ কিছুটা বাড়লেও তা আগের বছরের চেয়ে তুলনামূলক কম। আগামী এপ্রিল-মে মাসের আগে ক্রয়াদেশ বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই। এমন একটা সময়ে গ্যাস-বিদ্যুতের দাম ভোগাবে। একলাফে গ্যাসের দাম এতটা না বাড়িয়ে ধাপে ধাপে বাড়ালে আমরা দাম সমন্বয়ের সুযোগ পেতাম।