বেতন দিয়েছে ৭৫.৭৮% কারখানা, বোনাস দিয়েছে ৯৫.৩৮%: শিল্প পুলিশ

ফাইল ছবি

আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত দেশের মোট ৭৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ কারখানা মার্চ মাসের বেতন পরিশোধ করেছে এবং ঈদের বোনাস পরিশোধ করেছে ৯৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ কারখানা। অর্থাৎ এখনো মার্চ মাসের বেতন পরিশোধ করেনি ২৪ দশমিক ২২ শতাংশ কারখানা এবং ঈদের বোনাস পরিশোধ করেনি ৪ দশমিক ৬২ শতাংশ কারখানা।

এই পরিসংখ্যান বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএ ও বেপজার সদস্য, পাটকল ও অন্যান্য কারখানার। এসব সংগঠনের সদস্যভুক্ত দেশে মোট কারখানা আছে ৯ হাজার ৪৬৯টি। এর বাইরেও দেশে অনেক কারখানা আছে। তাদের হিসাব এই পরিসংখ্যানে নেই।

শিল্প পুলিশের পাঠানো পরিসংখ্যানে কোন সংগঠনের সদস্য কতগুলো কারখানা বেতন ও বোনাস পরিশোধ করেছে, সেই হিসাবও আছে। দেখা যাচ্ছে, বিজিএমইএর সদস্য কারখানাগুলোর মধ্যে মোট ৭৭ দশমিক ৯৬ শতাংশ কারখানা বেতন পরিশোধ করেছে। বিকেএমইএর সদস্য কারখানাগুলোর মধ্যে ৭৩ দশমিক ১৬ শতাংশ কারখানা, বিটিএমএর ৮২ দশমিক ৭১ শতাংশ, বেপজার ৮৮ দশমিক ১৮ শতাংশ, পাটকলগুলোর মধ্যে ৬৫ শতাংশ ও অন্যান্য কারখানার মধ্যে ৭৪ দশমিক ১৪ শতাংশ কারখানা বেতন পরিশোধ করেছে।

অন্যদিকে বোনাস পরিশোধের ক্ষেত্রে দেখা যায়, বিজিএমইএর সদস্য কারখানাগুলোর মধ্যে ৯৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ কারখানা, বিকেএমইএর ৯৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ, বিটিএমএর ৯৭ দশমিক ১২ শতাংশ, বেপজার ৯৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ, পাটকলগুলোর মধ্যে ৯৫ শতাংশ আর অন্যান্য কারখানাগুলোর মধ্যে ৯৫ দশমিক ২০ শতাংশ কারখানা বোনাস পরিশোধ করেছে।

গতকাল সোমবার বিকেল পর্যন্ত দেশের তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতের ৬০ শতাংশ কারখানার শ্রমিকেরা গত মার্চ মাসের বেতন পাননি। ঈদের উৎসব ভাতা বা বোনাস পাননি ১৪ শতাংশ কারখানার শ্রমিক। অর্থাৎ গতকাল বিকেল থেকে আজ সকাল পর্যন্ত আরও বেশ কিছু কারখানা শ্রমিকদের মার্চ মাসের বেতন ও ঈদের বোনাস দিয়েছে।

শিল্প পুলিশের তথ্যানুসারে, গতকাল পর্যন্ত সাভার-আশুলিয়া, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ, খুলনা, কুমিল্লা ও সিলেটের তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতের ২ হাজার ৫৩৪ কারখানার মধ্যে ১ হাজার ৯টি মার্চের বেতন দিয়েছে। উৎসব ভাতা দিয়েছে ২ হাজার ১৮৩টি কারখানা। কারখানামালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও বিটিএমএর শীর্ষ নেতাদের দাবি, বেতন ও উৎসব ভাতা নিয়ে বড় সমস্যা নেই; আজকের মধ্যে সব কারখানা বেতন-ভাতা পরিশোধ করবে।