তৈরি পোশাক খাতে রপ্তানি পুনরুদ্ধার শুরু: বিজিএমইএ সভাপতি

তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করছেন শ্রমিকেরাফাইল ছবি: প্রথম আলো

তৈরি পোশাক খাতে রপ্তানি পুনরুদ্ধার শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান।

ফারুক হাসান বলেন, চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে (জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ থেকে সব মিলিয়ে ৯৪৭ কোটি মার্কিন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩ দশমিক ১৫ শতাংশ বেশি।এর আগের ছয় মাস তৈরি পোশাকের রপ্তানি ছিল বেশ চ্যালেঞ্জিং। তবে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে রপ্তানি পুনরুদ্ধার শুরু হয়েছে।

আজ শুক্রবার বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান রপ্তানি পুনরুদ্ধার নিয়ে কথা কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘কিছুদিন আগে আমাদের প্রধান বাজার, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সর্বশেষ হলিডে সেলসের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে বলেছিলাম, ২০২৪ সালে খুচরা ব্যবসা ফিরে আসার ইঙ্গিত আছে।’

ফারুক হাসান, সভাপতি, বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)
ছবি: সংগৃহীত

ফারুক হাসান জানান, চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) ৪৮৮ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়। এই রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ বেশি। যদিও ইইউর মধ্যে বড় বাজার জার্মানিতে কয়েক মাস ধরেই পোশাক রপ্তানি নেতিবাচক ধারায় রয়েছে। তবে ফ্রান্স, স্পেন ও ইতালিতে রপ্তানি ইতিবাচক ধারায় আছে।

এদিকে এককভাবে বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্রেও তৈরি পোশাক রপ্তানি ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে বলে জানান বিজিএমইএর সভাপতি। তিনি বলেন, গত জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ১৪৩ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৭ দশমিক ৪২ শতাংশ বেশি। একইভাবে কানাডা ও যুক্তরাজ্যে তৈরি পোশাকের  রপ্তানি যথাক্রমে ২৪ দশমিক ১৯ ও ১৮ দশমিক ১৩ শতাংশ বেড়েছে।

অপ্রচলিত বা নতুন বাজারে রপ্তানি প্রসঙ্গে ফারুক হাসান জানান, চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে অপ্রচলিত বাজারে ১৭৬ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়। এর মধ্যে তুরস্কে ৮০ শতাংশ, সৌদি আরবে ৬৪ শতাংশ, সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) ৩৪ শতাংশ, রাশিয়ায় ১৮ শতাংশ ও অস্ট্রেলিয়ায় ১৪ শতাংশ বেড়েছে রপ্তানি।

পোশাক খাতের উদ্যোক্তাদের দূরদর্শিতার কারণেই রপ্তানি পুনরুদ্ধার সম্ভব হয়েছে বলে মন্তব্য করেন ফারুক হাসান। তিনি আরও বলেন, বিজিএমইএ বাজার বৈচিত্র্যকরণে সর্বদা সক্রিয় ভূমিকা রাখছে। সংগঠনের বর্তমান পর্ষদ গত তিন বছরে বাজার অনুসন্ধানে অনেক কাজ করেছে। অপ্রচলিত বাজারে অব্যাহত প্রবৃদ্ধি অর্জনের পেছনে বিজিএমইএর বড় ভূমিকা রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যানুযায়ী, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম আট মাস জুলাই-ফেব্রুয়ারিতে দেশ থেকে মোট ৩ হাজার ২৮৬ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪ দশমিক ৭৭ শতাংশ বেশি।