‘কিছু অসাধু ব্যক্তি নিম্নমানের অগ্নিনিরাপত্তা সরঞ্জাম বিক্রি করছে’

ছবি: বিজ্ঞপ্তি

কিছু অসাধু ব্যক্তি নিম্নমানের অগ্নিনিরাপত্তা সরঞ্জাম আমদানি করে দেশের বাজারে বিক্রি করছে। এতে সম্পদ ও প্রাণহানির ঝুঁকি বাড়ছে। এ অবস্থায় গুণগত মানসম্পন্ন অগ্নিনিরাপত্তা সরঞ্জামের সরবরাহ ও ব্যবহার বাড়ানোয় গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম।

ঢাকায় আজ শনিবার ‘ইন্টারন্যাশনাল ফায়ার সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি এক্সপো ২০২৪’ শীর্ষক প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ অভিমত দেন। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) প্রদর্শনীটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।

তিন দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে ইলেকট্রনিকস সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইসাব)। প্রদর্শনীতে বিশ্বের ৩০টি দেশের শতাধিক প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। অগ্নিনিরাপত্তাসহ যেকোনো দুর্যোগের ঝুঁকি, ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা, অগ্নিনিরাপত্তা ও সুরক্ষা সরঞ্জামের সহজলভ্যতা নিশ্চিতকরণ এবং সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ প্রদর্শনী আয়োজন করা হয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সালমান এফ রহমান বলেন, রানা প্লাজা ও তাজরীন ফ্যাশন গার্মেন্টসে অগ্নিদুর্ঘটনার পর দেশের শিল্পকারখানাগুলোয় অগ্নিঝুঁকি হ্রাস ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকার বিশেষ জোর দিয়েছে। একই সঙ্গে অগ্নিনিরাপত্তা ইস্যুতে বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারাও সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছেন।

সারা দেশে অগ্নিনিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকার ব্যাপকভাবে কাজ করছে জানিয়ে সালমান এফ রহমান বলেন, দেশের ফায়ার স্টেশনগুলোতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি যুক্ত হয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় একটি ফায়ার স্টেশন তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ বিল্ডিং কোড তৈরির ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।

এ সময় আমদানিনির্ভরতা কমিয়ে দেশেই অগ্নিনিরাপত্তা ও সুরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনে জোর দেন সালমান এফ রহমান।

এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, দেশে শিল্প ও বিনিয়োগ যত বাড়ছে, কলকারখানার নিরাপত্তার বিষয়টিও তত জরুরি হয়ে উঠছে। টেকসই শিল্প গড়ে তুলতে হলে অগ্নিসুরক্ষা ও নিরাপত্তার কোনো বিকল্প নেই। ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে এ বিষয়ে কোনো ছাড় দিলে চলবে না।

স্বাগত বক্তব্যে ইসাবের সভাপতি নিয়াজ আলী চিশতি বলেন, দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও টেকসই অবকাঠামো নির্মাণে অগ্নিনিরাপত্তা ও সুরক্ষা একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অগ্নিঝুঁকি কমিয়ে এনে দেশে অগ্নিনিরাপত্তার ব্যবস্থা আরও জোরদার করা এখন সময়ের দাবি।

ছবি: বিজ্ঞপ্তি

আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণের সময় মোট ব্যয়ের অন্তত ২ শতাংশ অগ্নিনিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য বরাদ্দ রাখার আহ্বান জানান ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন।

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, সবুজ শিল্পায়ন ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আসছেন তৈরি পোশাক খাতের ব্যবসায়ীরা। যার ফলে বাংলাদেশে মোট ২০৭টি গ্রিন সার্টিফায়েড পোশাক কারখানা গড়ে উঠেছে। এ ছাড়া পোশাকশিল্পের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিজিএমইএ ও ইসাব একসঙ্গে কাজ করবে বলে জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী, ইসাবের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি এস এম শাহজাহান সাজু, সাধারণ সম্পাদক জাকির উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।