মোড়কজাত লবণের দাম কেজিতে ৩ টাকা বেড়েছে

বাজারে আয়োডিনযুক্ত প্যাকেটজাত লবণের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি তিন টাকা। বাজারে অন্যান্য পণ্যের দাম যখন অস্থির, তখন উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো লবণের দামও সমন্বয় করল। গত জুলাইয়ে কোরবানির ঈদের পর থেকে পাইকারিতে মোড়কজাত লবণের দাম বাড়ছিল। তবে খুচরা মূল্য ঠিক ছিল। এখন মোড়কজাত লবণের খুচরা মূল্যও বাড়ানো হলো।

আজ সোমবার লবণ ব্যবসায়ী, রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ও খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাজারে সুপরিচিত একটি ব্র্যান্ডের এক কেজি লবণের মোড়কে দাম এখন ৩৮ টাকা। গত মাসে পণ্যটি উৎপাদন করা হয়েছে। লবণের এই প্যাকেটটির আগের ছিল ৩৫ টাকা। সেই হিসাবে খুচরা পর্যায়ে দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৩ টাকা। দাম বাড়ার ফলে ভোক্তাদের ওপর পণ্যমূল্যের চাপ আরও বাড়বে। এখন অধিকাংশ বিক্রেতা মোড়কের গায়ের দামেই লবণ বিক্রি করেন।

খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত মাসে ২৫ কেজি লবণের একটি বস্তা কিনেছেন ৮০০ টাকায়। তাতে মোড়কজাত লবণের প্রতি কেজি পাইকারি দাম পড়েছিল ৩২ টাকা। এক বস্তা লবণের দাম কোরবানির ঈদের সময় ছিল ৭৫০ টাকা। দুই মাসের কম সময়ে ২৫ কেজি লবণের বস্তায় দাম বেড়েছে ৫০ টাকা।

কারওয়ান বাজারের রব স্টোরের বিক্রেতা নাঈম হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘লবণের দাম বেড়েছে। পাইকারিতেই প্রতি বস্তা এখন ৫০ টাকা বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। এতে খুচরা বিক্রেতাদের লাভ কমেছে।’

খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, কিছুদিন ধরেই লবণের দাম বাড়তি। কিন্তু ক্রেতারা প্রতিদিন লবণ কেনেন না বলে এটি নিয়ে আলোচনা কম হয়।

জানতে চাইলে মোল্লা সল্টের মহাব্যবস্থাপক মান্নান মোল্লা প্রথম আলোকে বলেন, লবণের দাম সাধারণত ঈদ মৌসুমকে কেন্দ্র করে কিছুটা ওঠানামা করে। তবে এবার বাজারে সব ধরনের পণ্যের দাম বাড়ায় প্যাকেটজাত লবণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, বছরে দেশে আয়োডিনযুক্ত অর্থাৎ খাওয়ার লবণের চাহিদা প্রায় ৯ লাখ টন। প্রতি টন লবণ পরিমিত মাত্রায় আয়োডিনযুক্ত করতে প্রায় ৫৫ গ্রাম পটাশিয়াম আইয়োডাইড প্রয়োজন হয়। সেই হিসাবে প্রতিবছর আয়োডিন লাগে ৪০ টনের বেশি। এসব আয়োডিন সরকারিভাবেই আমদানি করা হয়।

বাংলাদেশ লবণ মিল মালিক সমিতির তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশে ৩০০-এর বেশি লবণ মিল রয়েছে। তার মধ্যে আধুনিক প্রযুক্তির মিল আছে ৫টি—এসিআই, মোল্লা, ফ্রেশ, কনফিডেন্স ও এসএ সল্ট। মিলগুলোর অধিকাংশই চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও নারায়ণগঞ্জ এলাকায়।