বৈশ্বিক তালিকায় চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান অপরিবর্তিত
কনটেইনার পরিবহনের বৈশ্বিক তালিকায় এবারও ৬৭তম অবস্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর। কনটেইনার পরিবহন কমলেও ক্রমতালিকায় পিছিয়ে যায়নি এ বন্দর।
২০২৩ সালে বিশ্বের বিভিন্ন সমুদ্রবন্দরের কনটেইনার পরিবহনের সংখ্যা হিসাব করে এই তালিকা প্রকাশ করেছে লন্ডনভিত্তিক শিপিংবিষয়ক বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো সংবাদমাধ্যম লয়েডস লিস্ট। গত সপ্তাহে ‘ওয়ান হান্ড্রেড পোর্টস ২০২৪’ শীর্ষক বিশেষ প্রকাশনায় এই তালিকা প্রকাশ করা হয়।
লয়েডস লিস্টের প্রকাশনায় চট্টগ্রাম বন্দর বিষয়ে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে ৩০ লাখ ৫০ হাজার ৭৯৩ একক কনটেইনার পরিবহন হয়েছে। ২০২২ সালে এই সংখ্যা ছিল ৩১ লাখ ৪২ হাজার ৫০৪। এই হিসাবে ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে কনটেইনার পরিবহন কমেছে ২ দশমিক ৯ শতাংশ।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, আমদানি নিয়ন্ত্রণসহ নানা কারণে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে কনটেইনার পরিবহন বিদায়ী বছরে কিছুটা কমেছিল। এরপরও চট্টগ্রাম বন্দর বৈশ্বিক ক্রমতালিকায় আগের অবস্থান ধরে রেখেছে, যেখানে বিশ্বের অনেক বিখ্যাত বন্দর পিছিয়ে গেছে।
কোন বন্দর কত কনটেইনার পরিবহন করল তার তুলনা করে লয়েডস লিস্টের এই ক্রমতালিকা তৈরি করা হয়। এ তালিকা দিয়ে বন্দরে সেবার মান বিচার করা হয় না। তবে কনটেইনার পরিবহনের সংখ্যা দিয়ে অঞ্চলভিত্তিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ধারণা পাওয়া যায়।
লয়েডস লিস্ট ২০১৩ সাল থেকে কনটেইনার পরিবহনের সংখ্যা হিসাব করে বৈশ্বিক ক্রমতালিকা প্রকাশ করে আসছে। ২০১৩ সালে কনটেইনার পরিবহনে বিশ্বে চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান ছিল ৮৬তম। এ তালিকায় চট্টগ্রাম বন্দর সবচেয়ে ভালো অবস্থানে ছিল ২০১৯ সালে। এই বছরের তথ্য নিয়ে ২০২০ সালে প্রকাশিত তালিকায় চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান ছিল ৫৮তম। সেই অবস্থানে আর ফেরত যেতে পারেনি এ বন্দর।
লয়েডস লিস্টের তালিকায় বরাবরের মতো এবারও চীনের সাংহাই বন্দর শীর্ষে রয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে সিঙ্গাপুর বন্দর। তালিকায় শীর্ষ ১০টি বন্দরের সাতটিই চীনের। বাংলাদেশের শুধু চট্টগ্রাম বন্দরই এই তালিকায় রয়েছে। দেশের অপর বন্দর মোংলায় খুব সামান্যসংখ্যক কনটেইনার পরিবহন হয়।