রিহ্যাবের নতুন সভাপতি মো. ওয়াহিদুজ্জামান

মো. ওয়াহিদুজ্জামান

আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) নতুন সভাপতি হয়েছেন জাপান গার্ডেন সিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. ওয়াহিদুজ্জামান। আর জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি হয়েছেন ব্রিক ওয়ার্কস ডেভেলপমেন্টের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী ভূঁইয়া।

রাজধানীর সোনারগাঁও সড়কে রিহ্যাব কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার বেলা দুইটার দিকে সভাপতি, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও পাঁচজন সহসভাপতি পদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে দুটি সহসভাপতি পদে নির্বাচন হয়। সহসভাপতি নির্বাচনে ভোট দেন গত মঙ্গলবার ভোটে জিতে আসা পরিচালকেরা। অন্যদিকে সভাপতি, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও বাকি তিনজন সহসভাপতি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।

জানা যায়, দুটি সহসভাপতি পদে নির্বাচন পরিচালনা করে নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সুব্রত কুমার দে। সঙ্গে ছিলেন নির্বাচন বোর্ডের অপর দুই সদস্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ মশিউর রহমান ও নুসরাত আইরিন। আরও উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ও রিহ্যাবের প্রশাসক জান্নাতুল ফেরদৌস।

সহসভাপতি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন হাভেলি প্রপার্টি ডেভেলপমেন্টের এমডি এম এ আউয়াল। আর পরিচালকদের ভোটে সহসভাপতি হয়েছেন আক্তার প্রপার্টিজের এমডি মোহাম্মদ আক্তার বিশ্বাস ও বেসিক বিল্ডার্সের এমডি আবদুল লতিফ। সহসভাপতি (অর্থ) পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন আরমা রিয়েল এস্টেটের চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক। এ ছাড়া পর্ষদে চট্টগ্রামের প্রতিনিধি হিসেবে সহসভাপতি হয়েছেন আরএফ বিল্ডার্সের এমডি দেলোয়ার হোসেন।

নতুন সভাপতি মো. ওয়াহিদুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন এ কমিটি ২০২৪-২৬ মেয়াদে রিহ্যাবের দায়িত্ব পালন করবে।

জানতে চাইলে রিহ্যাবের নবনির্বাচিত জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি লিয়াকত আলী ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, নতুন কমিটি আগামী ৯ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে সংগঠনের পরিচালনা পর্ষদের দায়িত্ব নেবে।

রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে গত মঙ্গলবার বড় কোনো অঘটন ছাড়াই সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ হয়। এতে ৪৭৬ ভোটারের মধ্যে ৪০৯ জন ভোট দিয়েছেন, অর্থাৎ ভোট পড়েছে প্রায় ৮৬ শতাংশ।

রিহ্যাবের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনে ২৯ পদের মধ্যে ২৫টিতে জয়ী হয়েছে আবাসন ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদ। এই প্যানেলের লিডার মো. ওয়াহিদুজ্জামান সর্বোচ্চ ভোট পান। এ ছাড়া হামিদ রিয়েল এস্টেট কনস্ট্রাকশনের এমডি ইন্তেখাবুল হামিদের নেতৃত্বাধীন জয় ধারা প্যানেলের তিন প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। এ ছাড়া ডেভেলপারস ফোরাম প্যানেলের একজন জয়ী হয়েছেন। অন্যদিকে নব জাগরণ প্যানেলের কেউ জয়ী হতে পারেননি। স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও কেউ জয়ের মুখ দেখেননি।

কেন্দ্রীয় কমিটির বাইরে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির তিন পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন সাতজন। এসব পদে ৪৪ ভোটারের মধ্যে ৩৯ জন ভোট দিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত জয়ী হয়েছেন আবদুল কাইয়ূম ভূঁইয়া, সৈয়দ ইরফানুল আলম ও নুর উদ্দিন আহাম্মদ।