রিহ্যাব আবাসন মেলায় ৪০৩ কোটি টাকার ফ্ল্যাট ও প্লট বিক্রি–বুকিং
রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) আয়োজিত আবাসন মেলায় ৪০৩ কোটি টাকার ফ্ল্যাট, প্লট ও বাণিজ্যিক স্পেস বা জায়গা বিক্রি ও বুকিং হয়েছে। পাঁচ দিনের এই মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থী এসেছেন ১৭ হাজার ৭২৯ জন।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত আবাসন মেলার শেষ দিনে আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানিয়েছে রিহ্যাব। ২০২২ সালের আবাসন মেলায় ৩৫১ কোটি ১৬ লাখ টাকার ফ্ল্যাট, প্লট ও বাণিজ্যিক স্পেস বিক্রি ও বুকিং হয়েছিল। সেই হিসাবে এবার বিক্রি ও বুকিং বেড়েছে প্রায় ৫২ কোটি টাকা।
রিহ্যাব এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, আজ বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত মেলায় ৪০৩ কোটি ১২ লাখ ৭৪ হাজার টাকার ফ্ল্যাট, প্লট ও বাণিজ্যিক স্পেস বিক্রি ও বুকিং হয়েছে। এর মধ্যে ফ্ল্যাট বিক্রি ও বুকিং হয়েছে ২৩০ কোটি টাকার। আর ৯৬ কোটি টাকার প্লট এবং ৭৭ কোটি ১২ লাখ ৭৪ হাজার টাকার বাণিজ্যিক জায়গা বুকিং ও বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া গৃহঋণ পেতে মেলা প্রাঙ্গণে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে প্রায় ১ হাজার ৯০ কোটি টাকা ঋণের জন্য আলোচনা করেন ক্রেতারা।
জাতীয় নির্বাচনের কারণে গত বছর আবাসন মেলা হয়নি। দুই বছর পর ২৩ ডিসেম্বর সোমবার এই মেলা শুরু হয়। পাঁচ দিনের এই মেলায় ১৭০টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। এর মধ্যে দেড় শটিই আবাসন প্রতিষ্ঠান।
সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় আজ সকাল থেকেই ক্রেতা-দর্শনার্থীরা মেলায় আসতে থাকেন। দুপুরের পর ভিড় বেড়ে যায়। শেষ দিনে ক্রেতা-দর্শনার্থীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় বিক্রি ও বুকিংয়ের পরিমাণও বাড়ে।
মেলায় অংশ নেওয়া একাধিক আবাসন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা প্রথম আলোকে জানান, পাঁচ দিনের মেলায় হাজার হাজার ক্রেতা-দর্শনার্থী প্লট, ফ্ল্যাট ও বাণিজ্যিক স্পেসের খোঁজখবর করেছেন। তাঁদের মধ্যে অবশ্য অল্পসংখ্যকই মেলায় বুকিং দেন বা কেনেন। তবে অনেক সম্ভাব্য ক্রেতার সঙ্গে প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচয় হয়েছে। এ রকম ক্রেতাদের কাছে পরবর্তী সময়ে ফ্ল্যাট বিক্রির ভালো সম্ভাবনা থাকে বলে জানান কর্মকর্তারা।
আবাসন খাতের প্রথম দিকের প্রতিষ্ঠান ইস্টার্ন হাউজিংয়ের সহকারী ব্যবস্থাপক মোস্তফা মহসিন আজ সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় প্রথম আলোকে বলেন, ‘মেলায় আমরা আফতাবনগর ও বনশ্রী এলাকার প্রকল্পের তিনটি ফ্ল্যাট বুকিং পেয়েছি। আশা করছি, মেলার বাকি কয়েক ঘণ্টায় বুকিং আরও বাড়বে।’ তিনি জানান, তাঁরা গুলশান-২, ধানমন্ডি, আফতাবনগর, বনশ্রী ও নিকেতনে ছয়টি আবাসন প্রকল্পের ফ্ল্যাট বিক্রির জন্য এনেছিলেন।
আবাসন খাতের উদীয়মান প্রতিষ্ঠান ক্রিডেন্স হাউজিং ৫৪টি আবাসন প্রকল্পের ফ্ল্যাট নিয়ে আসে মেলায়। প্রতিষ্ঠানটির চিফ ডিজাইন কো-অর্ডিনেটর মেহেদি হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা মেলায় ভালো সাড়া পেয়েছি। আশা করছি, মেলায় আসা ক্রেতাদের কাছ থেকে সামনের দিনগুলোতে বেশ কিছু ফ্ল্যাটের বুকিং পাব আমরা।’