গ্যাস–বিদ্যুৎ সংকটে ৬০% বস্ত্রকল ঝুঁকিতে

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন বিটিএমএর সভাপতি মোহাম্মদ আলীছবি: বিটিএমএর সৌজন্যে

গ্যাস–সংকটের কারণে বস্ত্র খাত মুখ থুবড়ে পড়েছে বলে দাবি করেছেন বস্ত্রকল মালিকদের সংগঠন বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী।

বিটিএমএর সভাপতি বলেন, গত মার্চে গ্যাসের সংকট শুরু হয়। জুলাইয়ে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। আর আগস্ট থেকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা, রূপগঞ্জ, আড়াইহাজার, নরসিংদীর মাধবদী, ঢাকার পার্শ্ববর্তী সাভার-আশুলিয়া, গাজীপুরের শ্রীপুর, কুমিল্লা ও চট্টগ্রামের বস্ত্রকলগুলো গ্যাস–সংকটের কারণে দিনে গড়ে ১২ ঘণ্টা বন্ধ থাকছে। এতে করে কারখানাগুলো উৎপাদনক্ষমতার মাত্র ৩০-৪০ শতাংশ ব্যবহৃত হচ্ছে।

প্রতি কেজি সুতা উৎপাদনে ১ ডলার ২৫ সেন্ট খরচ হলেও দিনের অর্ধেক সময় কারখানা বন্ধ থাকার কারণে তা বেড়ে আড়াই ডলারে গিয়ে পৌঁছেছে বলে জানান বিটিএমএ সভাপতি। তিনি বলেন, কাপড় রং করার ডাইং কারখানাগুলোও লোডশেডিংয়ের কারণে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী। তিনি বলেন, গ্যাস-বিদ্যুতের সংকটের কারণে ৬০ শতাংশ বস্ত্রকল ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। দ্রুত সংকট সমাধান করে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ করা না হলে অনেক শিল্পকারখানা বন্ধ হয়ে যাবে। চাকরি হারাবেন শ্রমিকেরা। ব্যাংকও তাদের পুঁজি হারাবে।

বিটিএমএ সভাপতি বলেন, জ্বালানির সঙ্গে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো যদি দূরদর্শী সিদ্ধান্ত নিত, তাহলে আজকে এ অবস্থা তৈরি হতো না। তিনি বলেন, ‘পেট্রোবাংলা আমাদের আশ্বস্ত করেছিল, অক্টোবরের শুরু থেকে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হবে। নভেম্বরে আরও ভালো থাকবে। ডিসেম্বরে কোনো সংকট থাকবে না। কিন্তু উন্নতি তো দূরে, অক্টোবরে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। আমাদের শঙ্কা, আগামী দুই মাসে গ্যাসের সংকট আরও বাড়বে।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিটিএমএ সহসভাপতি ফজলুল হক ও আব্দুল্লাহ আল মামুন, পরিচালক মোশাররফ হোসেন, আবদুল্লাহ জোবায়ের, সৈয়দ নুরুল ইসলাম, মোনালিসা মান্নান প্রমুখ।