ট্রপিক্যাল হোমসে আগ্রহ মধ্যবিত্তের

এম হক ফয়সাল, পরিচালক (বিপণন, বিক্রয়, জমি ও ক্রেতা সেবা), ট্রপিক্যাল হোমস লিমিটেড

মধ্যম আয়ের মানুষের জন্য সাশ্রয়ী ও মানসম্মত আবাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে রিয়েল এস্টেট খাতে তিন দশকের বেশি সময় ধরে কাজ করে যাচ্ছে ট্রপিক্যাল হোমস লিমিটেড। ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানটি সততা, সময়মতো হস্তান্তর এবং গুণগত নির্মাণমানের কারণে গ্রাহকদের আস্থা অর্জনে দেশের আবাসন খাতে একটি দৃঢ় অবস্থান তৈরি করেছে। এখন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি ১০০টির বেশি প্রকল্প সফলভাবে হস্তান্তর করেছে এবং বর্তমানে ২২টি প্রকল্প বিভিন্ন পর্যায়ে বাস্তবায়নাধীন।

এবারের রিহ্যাব ফেয়ারে ডায়মন্ড প্যাভিলিয়নের ২ নম্বর স্টলে ট্রপিক্যাল হোমস তাদের নতুন, চলমান ও প্রায় সম্পন্ন প্রকল্পগুলো উপস্থাপন করছে। মেলায় প্রতিষ্ঠানটির প্রদর্শনের জন্য প্রকল্প থাকছে কন্ডোমিনিয়াম, লাক্সারি আবাসিক, সাশ্রয়ী আবাসিক এবং বাণিজ্যিক প্রকল্প, যা ঢাকার বিভিন্ন  গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় অবস্থিত।

প্রতিষ্ঠানটির উল্লেখযোগ্য কন্ডোমিনিয়াম প্রকল্প ট্রপিক্যাল হায়দার অমরাপুরি, যা বনশ্রী মেইন রোডে অবস্থিত। ছয় বিঘা জমিতে গড়ে ওঠা এই প্রায় রেডি প্রকল্পে ২৩টির বেশি নাগরিক সুবিধা রয়েছে। রিহ্যাব মেলা উপলক্ষে এ প্রকল্পে ফ্ল্যাট বুকিং দিলে ১০ শতাংশ মূল্যছাড় দেওয়া হচ্ছে, যা ক্রেতাদের মধ্যে বিশেষ আগ্রহ তৈরি করবে।

লাক্সারি আবাসিক প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকার ট্রপিক্যাল মীর। সাশ্রয়ী আবাসিক প্রকল্পগুলোর অবস্থান মাটিকাটা, জলসিঁড়ি, উত্তরা, আফতাবনগর, ফকিরাপুলসহ ঢাকার বিভিন্ন এলাকায়। বসুন্ধরা এলাকায় রয়েছে ১২টি চলমান ও নতুন প্রকল্প, যার মধ্যে ২০ ও ৫১ কাঠা জমিতে নির্মিত আধুনিক কন্ডোমিনিয়াম প্রকল্পও রয়েছে।

বাণিজ্যিক খাতে ট্রপিক্যাল হোমসের প্রকল্পগুলোর মধ্যে মালিবাগের ট্রপিক্যাল টি এ টাওয়ার বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এটি দেশের প্রথম ৪৫ তলা বাণিজ্যিক ভবন হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া পুরানা পল্টন, ফকিরাপুল, কারওয়ান বাজার, টঙ্গী ও উত্তরা এলাকায় একাধিক সাশ্রয়ী ও লাক্সারি বাণিজ্যিক প্রকল্প চলমান।

ট্রপিক্যাল হোমসের ফ্ল্যাটগুলোর আয়তন ৯২৬ থেকে সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৫০০ বর্গফুট পর্যন্ত এবং প্রতি বর্গফুটের মূল্য ৭ হাজার থেকে ২৩ হাজার টাকার মধ্যে নির্ধারণ করা হয়েছে। অধিকাংশ প্রকল্পেই পার্কিং, গ্রিন ফিচার, জিমনেসিয়াম, সুইমিংপুল, রুফটপ গার্ডেন, শিশুদের খেলার জায়গা, কমিউনিটি হল, আধুনিক নিরাপত্তাব্যবস্থাসহ নানা নাগরিক সুবিধা রাখা হয়েছে। 

ট্রপিক্যাল হোমস লিমিটেডের একটি ভবনের গ্রাফিকস

নির্মাণ ও হস্তান্তর বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটি সময়কে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়। যেসব প্রকল্প ২০২৬ সালের জুনে হস্তান্তরিত হবে, সেগুলোর নির্মাণ অগ্রগতি ইতিমধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশ সম্পন্ন। ২০২৭ সালের প্রকল্পগুলোর কাজ শেষ হয়েছে প্রায় ৫৫ শতাংশ এবং ২০২৮ সালে শেষ হওয়ার কথা যেসব প্রকল্পের, সেগুলোর অগ্রগতি ৩৫ শতাংশ। বিক্রয় পরিস্থিতিতেও প্রতিষ্ঠানটি এগিয়ে—কয়েকটি প্রকল্পে ইতিমধ্যে শতভাগ ফ্ল্যাট বিক্রি হয়ে গেছে আর চলমান প্রকল্পগুলোতে গড়ে ৫৫ শতাংশ বিক্রি সম্পন্ন হয়েছে।

আমরা বিশ্বাস করি, একটি ফ্ল্যাট শুধু চার দেয়ালের আবাস নয়; এটি একটি পরিবারের নিরাপদ ভবিষ্যৎ। তাই শুরু থেকেই আমরা গ্রিন বিল্ডিং ধারণা, ভূমিকম্পসহনশীল নকশা এবং সময়মতো হস্তান্তরকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আসছি। মধ্যম আয়ের মানুষের সাধ্যের মধ্যে আধুনিক নাগরিক সুবিধাসম্পন্ন আবাসন নিশ্চিত করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।

পরিকল্পিত নগরায়ণ ও সঠিক নীতিগত সহায়তা থাকলে বাংলাদেশের আবাসন খাত আগামী দিনে আরও টেকসই ও জনবান্ধব হয়ে উঠবে।

  • এম হক ফয়সাল, পরিচালক (বিপণন, বিক্রয়, জমি ও ক্রেতা সেবা), ট্রপিক্যাল হোমস লিমিটেড