ডিএমপি এলাকায় শিল্প পুলিশের নতুন ইউনিট চায় পোশাকশিল্পের দুই সংগঠন
ঢাকা মহানগরের রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানার জন্য ডিএমপি এলাকায় শিল্প পুলিশের একটি ইউনিট প্রতিষ্ঠার জন্য সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের দুই সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আজ রোববার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে বৈঠককালে এ অনুরোধ জানান বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর একটি প্রতিনিধিদল। বিজিএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন সংগঠনটির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি এস এম মান্নান, সহসভাপতি মো. নাসির উদ্দিন ও বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। বিজিএমইএর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক, শিল্প পুলিশ প্রধান (অতিরিক্ত আইজিপি) মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।
বিজিএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান চালিকা শক্তি তৈরি পোশাকশিল্প। তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। শুধু পোশাকশিল্পে বর্তমানে প্রায় ৪০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। শিল্পাঞ্চলে আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বজায় থাকার কারণে এ অর্জন সম্ভব হয়েছে।’
বিজিএমইএর জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি এস এম মান্নান বলেন, ডিএমপি এলাকার মধ্যে উত্তরখান, দক্ষিণখান, মিরপুর, মালিবাগ, রামপুরা, বাড্ডাসহ কিছু এলাকায় এখনো বেশ কিছু পোশাক কারখানা চালু আছে। এসব পোশাক কারখানার জন্য ডিএমপি এলাকার মধ্যে শিল্প পুলিশের একটি ইউনিট বাড়ানোর অনুরোধ করেন তিনি।
বিজিএমইএর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডিএমপি এলাকায় শিল্প পুলিশের ইউনিট বাড়ানোর বিষয়টির সম্ভাব্যতা দেখার জন্য আইজিপিকে তাৎক্ষণিকভাবে নির্দেশনা দেন।
শিল্প পুলিশের ওয়েবসাইটের তথ্যানুযায়ী, ২০১০ সালের ৩১ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে আশুলিয়া-ঢাকা, গাজীপুর ও চট্টগ্রাম—এই তিনটি ইউনিটের সমন্বয়ে শিল্পাঞ্চল পুলিশের যাত্রা শুরু হয়। পরের বছর নারায়ণগঞ্জ ও ২০১৬ সালে ময়মনসিংহ ও খুলনায় শিল্পাঞ্চল পুলিশের ইউনিট গঠিত হয়। পরে ২০১৯ সালে কুমিল্লা ও সিলেটে শিল্পাঞ্চল পুলিশের নতুন ইউনিট গঠন করা হয়।