অটোমোবাইল নীতিমালার খসড়া পুনর্মূল্যায়নের দাবি বারভিডার

রাজধানীর ইআরএফ মিলনায়তনে আজ শনিবার বারভিডার সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন সংগঠনের সভাপতি আবদুল হক।
ছবি: বারভিডার সৌজন্যে

অটোমোবাইল শিল্প উন্নয়ন নীতিমালার খসড়া পুনর্মূল্যায়নের দাবি জানাল বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বারভিডা)। তারা বলছে, প্রস্তাবিত নীতিমালায় দেশীয় গাড়ি উৎপাদনের নামে দেশের ভোক্তাদের প্রয়োজন ও পছন্দকে খর্ব করে তুলনামূলক নিম্নমানের গাড়ি বেশি দামে কিনতে বাধ্য করার তৎপরতা গ্রহণযোগ্য নয়।

ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) মিলনায়তনে আজ শনিবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বারভিডার সভাপতি আবদুল হক। এতে বক্তব্য দেন সংগঠনটির সাবেক সভাপতি হাবিব উল্লাহ ডন, আবদুল হামিদ শরীফ, বর্তমান কমিটির সহসভাপতি মোহা. সাইফুল ইসলাম, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আবু হোসেন ভূঁইয়া, মো. ইউনূছ আলী প্রমুখ।

বাংলাদেশের আমদানিকারকেরা গাড়িভেদে ১২৭ থেকে ৮২৬ শতাংশ শুল্ক দিয়ে থাকেন। এই শুল্ক ও কর সরকারের রাজস্ব আয়ের অন্যতম উৎস। প্রস্তাবিত নীতিমালায় নতুন গাড়ির শিল্প স্থাপনের মাধ্যমে আহরিত রাজস্বের আকার কী হবে, তা বিবেচনায় রাখা জরুরি।
আবদুল হক, সভাপতি, বারভিডা

সংবাদ সম্মেলনে বারভিডা বলেছে, গাড়ির অভ্যন্তরীণ বাজার ন্যূনতম ১ লাখ ইউনিট হলে নতুন গাড়িশিল্প প্রতিষ্ঠা সম্ভব বলে প্রস্তাবিত নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে। তবে বাংলাদেশে বছরে গড়ে ২০ হাজার ইউনিট গাড়ি বিক্রি হয়। এমন পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক কোম্পানির পক্ষে এখানে অটোমোবাইল শিল্প স্থাপন কতটুকু টেকসই হবে, তা বিবেচ্য বিষয়। এ ছাড়া সংযোজনের ক্ষেত্রে স্থানীয় পর্যায়ে ৩০ শতাংশ যন্ত্রাংশ উৎপাদনের শর্ত থাকা দরকার।

আবদুল হক বলেন, বাংলাদেশের আমদানিকারকেরা গাড়িভেদে ১২৭ থেকে ৮২৬ শতাংশ শুল্ক দিয়ে থাকেন। এই শুল্ক ও কর সরকারের রাজস্ব আয়ের অন্যতম উৎস। প্রস্তাবিত নীতিমালায় নতুন গাড়ির শিল্প স্থাপনের মাধ্যমে আহরিত রাজস্বের আকার কী হবে, তা বিবেচনায় রাখা জরুরি। তিনি বলেন, বিশ্ব মানের কোম্পানি বাংলাদেশে গাড়ি নির্মাণশিল্প স্থাপন করতে চাইলে বারভিডা তাকে স্বাগত জানাবে। তবে শুধু অভ্যন্তরীণ বাজারের ওপর নির্ভর না করে তাকে যেন রপ্তানিমুখী করা যায়, সেই বিবেচনা করতে হবে।

বারভিডার সভাপতি দাবি করেন, জাপানের রিকন্ডিশন্ড গাড়িগুলো ইমিশন স্ট্যান্ডার্ড (নিঃসরণ মান) বা ইউরো ৫ মানদণ্ডের শর্ত পূরণ করে বলে অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, নিউজিল্যান্ড, চিলি ও ইউএইর মতো শিল্পোন্নত ধনী দেশও এই গাড়ি আমদানির অনুমোদন দেয়। অন্যদিকে ভারত, থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়ায় উৎপাদিত আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডগুলোর গাড়ি ইউরো ২ বা ৩ মানদণ্ডের হয়। এসব গাড়ি জাপানের রিকন্ডিশন্ড গাড়ির তুলনায় বেশি পরিবেশ দূষণ করে।