আসবাবের কাঠ নিলামে উঠছে জ্বালানি হিসেবে

ফাইল ছবি

এক দশক আগে মিয়ানমার থেকে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি করা হয়েছিল ১ হাজার ২৫১ পিস বা ৬৬ হাজার বর্গফুট গর্জন কাঠ। আমদানিকারক খালাস না নেওয়ায় ওই কাঠ আটবার নিলামে তুলেছিল কাস্টমস। তবু বিক্রি হয়নি। ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়া সেই কাঠ এখন জ্বালানি কাঠ হিসেবে নিলামে তোলা হচ্ছে। জানা গেছে, আসবাবপত্র তৈরির জন্য এ কাঠ আমদানি করা হয়েছিল।

কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামীকাল রোববার ও পরদিন সোমবার এই নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। আগ্রহীরা এই দুদিন সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টার মধ্যে দরপত্র জমা দিতে পারবেন। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস কার্যালয়, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও ঢাকার কাকরাইলে অবস্থিত কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট (দক্ষিণ) কার্যালয়ে দরপত্র জমা নেওয়া হবে। ২৬ এপ্রিল বেলা আড়াইটায় দরপত্রদাতাদের উপস্থিতিতে দরপত্র বাক্স খোলা হবে।

কাস্টমসের একটি কমিটি সম্প্রতি সরেজমিন যাচাই–বাছাই করে দেখতে পায়, আমদানি করা প্রায় ৬৬ হাজার বর্গফুট কাঠের বড় অংশই জ্বালানি হিসেবে ব্যবহারেরও অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। শুধু ২৬ হাজার বর্গফুট কাঠ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। এই কাঠের সংরক্ষিত মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩ লাখ ১৮ হাজার টাকা। একাধিকবার নিলামে ওঠায় যেকোনো দরে এই কাঠ সর্বোচ্চ দরদাতার অনুকূলে বিক্রি করতে পারবে কাস্টমস।

কাস্টমসের উপকমিশনার আলী রেজা হায়দার প্রথম আলোকে বলেন, উদ্ভিদ সংঘ নিরোধ কর্তৃপক্ষ জ্বালানি কাঠ হিসেবে নিলাম করার ছাড়পত্র দিয়েছে। ফলে এই কাঠ নিলামে যিনি পাবেন, তিনি এক-দুদিনের মধ্যেই খালাস নিতে পারবেন।

কাস্টমস জানায়, ঢাকার গোমতী টিম্বার কমপ্লেক্স ২০১২ সালে মিয়ানমার থেকে এই কাঠ আমদানি করে। আমদানিকারক খালাস না নেওয়ায় পরে কাস্টমসের পক্ষ থেকে তা নিলামে তোলা হয়। এরপরই আমদানিকারক কাস্টমসের নিলামের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়। কিন্তু আদালতের রায় অনুযায়ী আমদানিকারক নির্ধারিত সময়ে এসব কাঠ খালাস নেননি। এরপর বারবার নিলামে তুলেও বিক্রি করতে পারেনি কাস্টমস। কাঠের মান খারাপ হওয়ায় উদ্ভিদ সংঘ নিরোধ কর্তৃপক্ষও ছাড়পত্র দেয়নি। শেষ পর্যন্ত জ্বালানি কাঠ হিসেবে বিক্রির ছাড়পত্র দেওয়ায় এখন আবার নিলামে তোলা হচ্ছে।