এক বছরে ই-কমার্স খাতে ২ লাখ উদ্যোক্তা যুক্ত হবে

ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সপ্তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতারা। সোমবার ঢাকার সোনারগাঁ হোটেলে
প্রথম আলো

দেশে ই-কমার্সের আকার প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা। শুধু করোনা মহামারির সময়ে এ খাতে পাঁচ লাখ নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে। আগামী এক বছরের মধ্যে ই-কমার্স খাতে যুক্ত হবেন আরও দুই লাখ উদ্যোক্তা।

ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সপ্তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির নেতারা এসব কথা জানান। রাজধানীর একটি হোটেলে আজ সোমবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ই-ক্যাবের সহসভাপতি মোহাম্মদ সাহাবউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াহেদ এবং তিন পরিচালক আসিফ আহনাফ, জিয়া আশরাফ ও আশিষ চক্রবর্ত্তী।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে থাকা অনলাইন ব্যবসার গ্রাহক ও সরবরাহকারীদের টাকা কবে নাগাদ পাওয়া যাবে সে সম্পর্কে নিশ্চিত কোনো ধারণা দিতে পারেননি ই-ক্যাবের নেতারা। সহসভাপতি মোহাম্মদ সাহাবউদ্দিন বলেন, এসক্রো প্ল্যাটফর্মটি স্বয়ংক্রিয় না হওয়ায় পাওনা টাকার বিষয় এখনো নিষ্পত্তি হয়নি। আর অনেক প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবও জব্দ করা হয়েছে। কিছু প্রতিষ্ঠানের অভিযোগ আদালতের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হবে। এরপর গ্রাহক ও সরবরাহকারীদের পাওনা পরিশোধ সম্ভব হবে। তবে সমস্যাটি দ্রুত সমাধানে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা চলছে ই–ক্যাবের।

অনলাইন ব্যবসায় গতি ফেরাতে ই-ক্যাবের নেতারা এসক্রো পদ্ধতি স্বয়ংক্রিয় করা, পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে থাকা টাকা দ্রুত ফেরত দেওয়া, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের টিকিয়ে রাখতে প্রণোদনাসহ অন্যান্য সুবিধা দেওয়ার দাবি করেন।