এসএমই উদ্যোক্তারা আরও বেশি ঋণ নিতে পারবেন

প্রণোদনা তহবিল থেকে চলতি মূলধনের সমান ঋণ পাবেন এসএমই উদ্যোক্তারা।
২০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে বিতরণ হয়েছে ৭ হাজার ৭০০ কোটি টাকা।

করোনাভাইরাসের প্রণোদনা তহবিল থেকে চলতি মূলধনের সমান ঋণ নিতে পারবেন ক্ষতিগ্রস্ত কুটির, ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তারা (সিএমএসএমই)। আগে চলতি মূলধনের ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ নেওয়ার সুযোগ ছিল। এর ফলে ছোট উদ্যোক্তারা আগের চেয়ে দ্বিগুণ ঋণ নিতে পারবেন।

বাংলাদেশ ব্যাংক আজ শুক্রবার নতুন এ সুযোগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। একই সঙ্গে এই খাতে ঋণ বিতরণের সময় আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়েছে। আগে নভেম্বরের মধ্যে এই তহবিলের ঋণ বিতরণের সময় নির্ধারণ করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
জানা যায়, করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হলে ক্ষতিগ্রস্ত কুটির, ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের চলতি মূলধন সুবিধার জন্য ২০ হাজার কোটি টাকা তহবিল গঠন করা হয়। এ ঋণের সুদহার ৯ শতাংশ, তবে গ্রাহকদের দিতে হচ্ছে ৪ শতাংশ। বাকি ৫ শতাংশ সরকার ভর্তুকি হিসেবে দিচ্ছে। ক্ষুদ্র ও ছোট উদ্যোক্তারা যাতে ঋণ পান, সে জন্য ২০ হাজার কোটি টাকা ঋণের বিপরীতে ১০ হাজার কোটি টাকার পুনঃ অর্থায়ন তহবিলও গঠন করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরপরও ঋণ পাচ্ছেন না ছোট উদ্যোক্তারা। এখন ঋণে নিশ্চয়তা দিতে গ্যারান্টি স্কিমও প্রণয়ন করছে। তবে এ কার্যক্রম এখনো শুরু হয়নি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত প্রণোদনা তহবিল থেকে ৫৫ হাজার প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ঋণ অনুমোদন করা হয়েছে। তবে ঋণ পেয়েছে ৫২ হাজার প্রতিষ্ঠান, যা প্রায় ৭ হাজার ৭০০ কোটি টাকা।

এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, ট্রেডিং খাতে চলতি মূলধনের ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ দেওয়া যাবে। আর উৎপাদন ও সেবা খাতে ঋণের হার হবে ৬৫ শতাংশ। আগে ট্রেডিং খাতে ৩০ শতাংশের বেশি ঋণ দেওয়ার সুযোগ ছিল না।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ছোট উদ্যোক্তারা যাতে পর্যাপ্ত ঋণ পান, এ জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।