কম রপ্তানি পণ্য নিয়ে বন্দর ছেড়েছে তিন জাহাজ

চট্টগ্রাম বন্দর
প্রথম আলোর ফাইল ছবি

পণ্য পরিবহন ধর্মঘটের কারণে শেষ পর্যন্ত তিন জাহাজে ১ হাজার ২৮১ কনটেইনার রপ্তানি পণ্য তোলা যায়নি। কনটেইনার রাখার জায়গা ফাঁকা রেখে আজ সোমবার জাহাজ তিনটি বন্দর ছেড়ে যায়। ধর্মঘটের আগে ও ধর্মঘট চলাকালীন যেসব রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনার পাওয়া গেছে তাই বোঝাই করতে পেরেছে জাহাজ তিনটি।

বন্দর ছেড়ে যাওয়া তিন জাহাজের একটি ‘এএস সিসিলিয়া’। জাহাজটির স্থানীয় প্রতিনিধি ক্রাউন নেভিগেশন লিমিটেডের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক সাহেদ সরোয়ার প্রথম আলোকে বলেন, জাহাজটিতে প্রায় ১ হাজার ৩০০ কনটেইনার পরিবহনের বুকিং ছিল। ধর্মঘটের কারণে অন্তত ৪১১ কনটেইনার ডিপো থেকে আনা যায়নি। প্রায় ৯০০ কনটেইনার পাওয়া গেছে, যেগুলোর বেশির ভাগ ধর্মঘটের আগে বন্দরে আনা হয়েছিল। ধর্মঘটের কারণে বন্দরে বেশি দিন অবস্থান ও রপ্তানি পণ্য আনতে না পারায় তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে তিনি জানান।

সাধারণত চট্টগ্রামের বেসরকারি কনটেইনার ডিপো থেকে রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনার বন্দরে এনে জাহাজে তোলা হয়। ধর্মঘটের প্রভাবে ডিপো থেকে বুকিং অনুযায়ী রপ্তানি পণ্য বন্দরে আনা যায়নি। ফলে কমসংখ্যক রপ্তানি কনটেইনার নিয়ে বন্দর ছেড়েছে জাহাজগুলো। ডিপো থেকে রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনার বন্দরে পাঠাতে না পারায় সেখানেও স্তূপ জমছে।

বেসরকারি কনটেইনার ডিপো সমিতির মহাসচিব রুহুল আমিন সিকদার প্রথম আলোকে বলেন, ১৯টি ডিপোতে সোমবার পর্যন্ত রপ্তানি পণ্যের ১০ হাজার ৭০০ কনটেইনারের স্তূপ জমেছে। রোববার রাতে কিছুসংখ্যক কনটেইনার বন্দরে পাঠানো গেলেও সেটি চাহিদানুযায়ী নয়।

জ্বালানি তেলের মূল্য বাড়ানোর প্রতিবাদে গত শুক্রবার পরিবহন ধর্মঘট শুরু করেন মালিকেরা। গতকাল এক বৈঠকে ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হওয়ার পর বাস ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়। তবে পণ্য পরিবহনে ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন ট্রাক-কাভার্ড ভ্যানের মালিকেরা। সোমবার রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে ধর্মঘট প্রত্যাহার হতে পারে বলে আভাস পাওয়া গেছে।