ক্রেতাকে ভুল ভ্যাট চালান দিয়ে ধরা

কয়েক দিন আগে একজন ক্রেতা উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরে অবস্থিত সোনারগাঁও জনপথে অবস্থিত মি. মানিক ফুডস নামে একটি দোকানে খেতে যান। খাওয়া শেষে খাবারের বিলের সঙ্গে ভ্যাটের চালান চান। কিন্তু তাঁকে খাবারের বিলের কপি দেওয়া হয়। পরে ওই ক্রেতা ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তরে অভিযোগ জানান।

ওই ক্রেতার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার ভ্যাট গোয়েন্দারা ওই প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে ভ্যাট ফাঁকির সন্ধান পান। ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তরের উপপরিচালক তানভীর আহমেদের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। ক্রেতাকে ভ্যাটের চালান না দিয়ে ধরা খেল মি মানিক ফুডস।

গোয়েন্দার দল অভিযানে দেখতে পায়, প্রতিষ্ঠানটি প্রকৃত বিক্রয় তথ্য গোপন করে উত্তরার ভ্যাট কার্যালয়ে কম ভ্যাট পরিশোধ করেছে। গোয়েন্দা দল ওই ফাস্ট ফুড দোকান থেকে তাদের বাণিজ্যিক দলিলাদি ও কম্পিউটারের তথ্য জব্দ করে। চিকেন ফ্রাই, বার্গার, গ্রিল ও অন্যান্য ফাস্ট ফুড বিক্রি করে থাকে মানিক ফুডস। ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

খাবারের বিলের কপি

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ক্রেতার অভিযোগ অনুসন্ধান করে গোয়েন্দারা দেখতে পান, ১৮ ডিসেম্বর ৫৭ নম্বর টোকেনে উত্তরার দোকান কর্তৃপক্ষ খাবার কেনার রসিদ দিলেও তাতে তেরো সংখ্যার মূসক নম্বরের উল্লেখ ছিল না এবং ভ্যাট আইন অনুযায়ী তা মূসক ৬ দশমিক ৩ চালান নয়।

ভ্যাট গোয়েন্দা দলটি আজ প্রতিষ্ঠানটিতে অভিযানকালে সেখানে ক্রেতাদের বেশ ভিড় দেখতে পান। তাঁরা বিভিন্ন কাগজপত্র যাচাই করে ভ্যাট চালানের রেকর্ডে ওই অভিযোগকারীর বিক্রির তথ্য পাননি। এর মানে, ওই ফাস্ট ফুড কর্তৃপক্ষ ভ্যাট ফাঁকি দিতে ভুয়া হিসাব সংরক্ষণ করে।

ভ্যাট গোয়েন্দারা জব্দ করা কাগজে পরীক্ষা করে দেখেন, গত ৬ মাসে উত্তরার ওই খাবার দোকানে এক লাখ টাকার বিক্রি দেখানো হয়েছে। মানিক ফুডস ফুডপান্ডা, সহজ ও অন্যান্য অনলাইনের মাধ্যমে খাবার হোম ডেলিভারিও করে আসছে।

ভ্যাটের ভুল চালান দিয়ে ধরা খেল উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরের মানিক ফুডস নামে একটি খাবারের দোকান। সম্প্রতি একজন ক্রেতা খাবারের বিল দেওয়ার সময় চালান চাইলে ভ্যাট নম্বর ছাড়া বিক্রি রসিদ দেওয়া হয়। ওই ক্রেতার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ভ্যাট গোয়েন্দারা অভিযান চালিয়ে ভ্যাট ফাঁকির সন্ধান পান।

ভ্যাট গোয়েন্দারা ফুডপান্ডা ও সহজের সিস্টেম থেকে যাচাই করে দেখতে পান, ওই ৬ মাসে প্রতিষ্ঠানটি কেবল অনলাইনে প্রায় পাঁচ লাখ টাকার খাবার সরবরাহ করেছে।

দৈনিক বিক্রয়ের লেনদেনের তথ্যের জন্য ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে। জানা গেছে, ভ্যাট আইন লঙ্ঘনের কারণে মানিক ফুডসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে ভ্যাট বিভাগ।