গ্রামীণফোনের রাজস্ব কমেছে, গ্রাহক বেড়েছে ৩১ লাখ

বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ৩ হাজার ৫৫৬ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২ দশমিক ৮ শতাংশ কম। তবে আগের প্রান্তিকের চেয়ে পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে এবং গ্রাহকসংখ্যা বেড়েছে অপারেটরটির।

জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসে ২৫ শতাংশ মার্জিন (মুনাফার হার) প্রতিষ্ঠানটির কর পরবর্তী মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৮৯০ কোটি টাকা। শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ৬ দশমিক ৫৯ টাকা। নয় মাস শেষে গ্রামীণফোনের মোট গ্রাহকসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ কোটি ৭৬ লাখ, যা আগের প্রান্তিকের চেয়ে ৩১ লাখ বেশি। গ্রামীণফোনের গ্রাহকদের মধ্যে ৪ কোটি ২০ লাখ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী।

গ্রামীণফোন জানিয়েছে, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব অর্থনীতির ওপর যে প্রভাব ফেলেছিল, তা কাটিয়ে উঠতে শুরু করায় তারা ভালো করতে শুরু করেছে। এ বিষয়ে এক বিজ্ঞপ্তিতে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইয়াসির আজমান বলেন, কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের প্রথম মাসগুলোর তুলনায় দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে। তবে একই প্রান্তিকে বিরূপ আবহাওয়া নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

আজ সোমবার গ্রামীণফোন নিজের তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক পরিস্থিতি তুলে ধরে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আলোচ্য সময়ে ২৫ শতাংশ মার্জিন (মুনাফার হার) প্রতিষ্ঠানটির কর পরবর্তী মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৮৯০ কোটি টাকা। শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ৬ দশমিক ৫৯ টাকা। নয় মাস শেষে গ্রামীণফোনের মোট গ্রাহকসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ কোটি ৭৬ লাখ, যা আগের প্রান্তিকের চেয়ে ৩১ লাখ বেশি। গ্রামীণফোনের গ্রাহকদের মধ্যে ৪ কোটি ২০ লাখ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী।

নিয়ন্ত্রক সংস্থা প্রস্তাবিত টাওয়ার গাইডলাইনের অনুমোদন দিয়েছে। এটি আমাদের নতুন নেটওয়ার্ক সাইট স্থাপনে সহায়তা করবে এবং একই সঙ্গে দেশব্যাপী গ্রাহকদের প্রযুক্তি ব্যবহারে আরও ভালো অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইয়াসির আজমান

ইয়াসির আজমান বলেন, ‘নিয়ন্ত্রক সংস্থা প্রস্তাবিত টাওয়ার গাইডলাইনের অনুমোদন দিয়েছে। এটি আমাদের নতুন নেটওয়ার্ক সাইট স্থাপনে সহায়তা করবে এবং একই সঙ্গে দেশব্যাপী গ্রাহকদের প্রযুক্তি ব্যবহারে আরও ভালো অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’

গ্রামীণফোনের চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) ইয়েন্স বেকার বলেন, ‘২০২০ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি ও বন্যা নতুনভাবে আমাদের চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে। বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ৮ দশমিক ১ শতাংশ নেতিবাচক প্রবৃদ্ধির পর তৃতীয় প্রান্তিকে আমরা উল্লেখযোগ্যভাবে ফিরে আসতে সমর্থ হই।’

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তৃতীয় প্রান্তিকে গ্রামীণফোন নেটওয়ার্ক উন্নয়নে ৩২০ কোটি (লাইসেন্স ও ইজারা ফি বাদে) টাকা বিনিয়োগ করেছে। এ সময়ে ১ হাজার ৭০টি নতুন ফোরজি সাইট স্থাপন করা হয়েছে। সেপ্টেম্বর শেষে মোট নেটওয়ার্ক সাইটের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৪৮১।

২০২০ সালের প্রথম নয় মাসে গ্রামীণফোন সরকারের কোষাগারে কর, ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর), শুল্ক, ফোরজি লাইসেন্স ও তরঙ্গ ফি বাবদ মোট রাজস্বের ৬৮ শতাংশ জমা দিয়েছে।