দিন দিন মোটরসাইকেলশিল্প চাঙা হচ্ছে

মো. আবু আসলাম, প্রধান বিপণন কর্মকর্তা, নিলয় মোটরস লিমিটেড

বর্তমানে মানুষ ব্যক্তিগত বাহনের কথা বেশি ভাবছে। দেশের তরুণ, মধ্যবয়সী ও মেয়েদের মধ্যে মোটরসাইকেলের প্রতি আগ্রহ বেশি। সে কারণে দিন দিন মোটরসাইকেল শিল্প চাঙা হচ্ছে। এটা আমাদের জন্য বড় সুযোগ। বর্তমানে চাকরিজীবীরা ১০০, ১১০ ও ১২৫ সিসির মোটরসাইকেল বেশি ব্যবহার করছেন। এ ছাড়া থ্রিলার ও হাংক বাইকগুলো তরুণদের পছন্দের শীর্ষে। আমাদের দেশের সড়কগুলোও মোটরসাইকেল চালানোর জন্য যথেষ্ট উপযোগী।

নিটল-নিলয় গ্রুপের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশে ২০১৪ সালে যাত্রা শুরু করে হিরো মটোকর্প। ২০১৭ সাল থেকে মোটরসাইকেল উৎপাদন শুরু হয়। আমাদের কারখানাতে বছরে দুই লাখ ইউনিট উৎপাদনের সক্ষমতা আছে। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এই মুহূর্তে আমাদের কোনো ঘাটতি নেই।

হিরো মোটরসাইকেল সব শ্রেণি-পেশার মানুষ ব্যবহার করেন। আমরা দেশের সব অঞ্চলের মানুষের কাছে সেবা পৌঁছে দিতে চাই। এখন আমাদের পাঁচ শর বেশি টাচ পয়েন্ট আছে। মানুষের দ্বারপ্রান্তে সহজে পৌঁছানোর জন্য নতুন নতুন বিক্রয়কেন্দ্র করা হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য, দেশের প্রতি ১০ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে একটি বিক্রয়কেন্দ্র স্থাপন করা। হিরো মোটরসাইকেলে পাঁচ বছরের বিক্রয়োত্তর সেবা দেওয়া হয়। আমাদের মোটরসাইকেলগুলো ১০ থেকে ১৫ বছর ব্যবহার করা যায়। তবে দীর্ঘ সময় ব্যবহার করতে হলে তিন মাস পর পর সার্ভিসিং করানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

করোনার কারণে গত দুই বছর কঠিন সময় পার করেছে সারা বিশ্ব। সেই ধাক্কা পুরোপুরি কাটিয়ে ওঠার আগেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। এ জন্য মোটরসাইকেলের কাঁচামাল ও যন্ত্রাংশের সরবরাহব্যবস্থায় প্রভাব পড়েছে। খরচ বেশ বেড়ে গেছে। ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নের কারণেও আমদানি হওয়া যন্ত্রাংশের দাম আরেক দফা বেড়ে গেছে। প্রস্তাবিত বাজেটে দুই চাকার এই যানের কিছু যন্ত্রাংশসহ বেশ কিছু জিনিসের ওপর উচ্চ করারোপ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে তাই মোটরসাইকেলের দাম একটু একটু করে বাড়ছে। এমন প্রেক্ষাপটে আমরা চেষ্টা করছি, মোটরসাইকেলের দাম ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার।