পোশাকশিল্পকে পরিবেশবান্ধব উৎপাদনে যেতে হবে

দেশের উৎপাদনশীল কারখানার বিরুদ্ধে যেমন পরিবেশদূষণের অভিযোগ আছে, তেমনি অনেক পরিবেশবান্ধব কারখানাও গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশের বেশ কিছু কোম্পানি পরিবেশবান্ধব কারখানা সনদ পেয়েছে। টেকসই উন্নয়নের জন্য এটি জরুরি।

গতকাল বহুজাতিক ব্যাংক এইচএসবিসি আয়োজিত ‘টেকসই পোশাক খাতের জন্য চক্রাকার অর্থনীতি’ শীর্ষক এক ভার্চ্যুয়াল আলোচনা চক্রের প্রথম পর্বের অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে কোভিড–পরবর্তীকালে বাংলাদেশের পোশাকশিল্প কীভাবে টেকসই সরবরাহ ব্যবস্থার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিচ্ছে এবং ফ্যাশনজগতের টেকসই পরিবর্তন কীভাবে ত্বরান্বিত করতে পারে, সে বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

অনুষ্ঠানে এনভয় টেক্সটাইলস লিমিটেড ও এনভয় গ্রুপের চেয়ারম্যান কুতুবউদ্দিন আহমেদ নিজ কারখানায় গৃহীত বিভিন্ন পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি নিয়ে আলোচনা করেন। সময়-সময় এনভয়ের কারখানায় যে নতুন প্রযুক্তি আনা হয়েছে, তাতে বিদ্যুৎ ও পানির সাশ্রয় হচ্ছে। তিনি জোর দিয়েই বলেন, এনভয়ের কারখানা পরিবেশদূষণ করে না।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সার্কুলার বা চক্রাকার ফ্যাশনশিল্প দ্রুত বর্ধনশীল আন্দোলন। এই মডেলে পোশাকশিল্পে ব্যবহৃত সব উপকরণ পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে দূষণ রোধ করা হয়। দেশের পোশাকশিল্পকে দ্রুত সেই দিকে যেতে হবে বলে মত দেন বক্তারা।

অনুষ্ঠানে এইচএসবিসি বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব উর রহমান বলেন, ‘দায়িত্বশীল বৈশ্বিক ব্যাংক হিসেবে এইচএসবিসি ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী কার্বন নিঃসরণ হ্রাস করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। টেকসই ফ্যাশন নিশ্চিত ও চক্রাকার অর্থনীতি উৎসাহিত করতে আমরা গ্রাহক, শিল্পোদ্যোক্তা ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে তেমন অংশীদারত্বই প্রত্যাশা করি, যাতে এই লক্ষ্য অর্জনে অর্থের জোগান সহজলভ্য হয় এবং উদ্ভাবনী উদ্যোগ ত্বরান্বিত করে কার্বন নিঃসরণ হ্রাসের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা যায়।’

এই বাস্তবতায় উৎপাদন প্রক্রিয়া আরও উন্নত করায় জোর দেন বক্তারা। তাঁরা বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব আসন্ন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাও চলে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে কর্মীদের দক্ষতা না বাড়লে তাঁদের পক্ষে নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। সে জন্য উৎপাদন ও প্রযুক্তিতে বিনিয়োগের পাশাপাশি তাঁদের পরামর্শ, মানবসম্পদ উন্নয়নেও বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। এতে উৎপাদন প্রক্রিয়া দক্ষ হবে এবং তাতে দূষণও কমবে।

অনুষ্ঠানে এইচএসবিসি বাংলাদেশের হেড অব হোলসেল ব্যাংকিং কেভিন গ্রিন ও এইচএসবিসির এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের কর্মকর্তারা বক্তব্য দেন।