পাঁচ দিনব্যাপী রিহ্যাবের আবাসন মেলায় মধ্যবিত্ত ক্রেতাই বেশি ভিড় করছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সরকারি চাকরিজীবী, তরুণ ব্যবসায়ী ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তা। এসব ক্রেতা বেশি খুঁজছেন ১ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার বর্গফুটের মাঝারি আকারের ফ্ল্যাট। আর এসব ফ্ল্যাটের চাহিদা বেশি মোহাম্মদপুর, লালমাটিয়া, মিরপুর ও উত্তরা এলাকার আবাসন প্রকল্পে।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত রিহ্যাব মেলায় গতকাল শনিবার দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, অনেক ক্রেতা-দর্শনার্থী বিভিন্ন আবাসন প্রতিষ্ঠানের স্টলে ভিড় করছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়েও মেলায় এসেছেন। আবাসন প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা তাঁদের প্রকল্পের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার কথা ক্রেতা-দর্শনার্থীদের কাছে বর্ণনা করছেন।
মেলায় কনকর্ড রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট তাদের ৩০টি প্রকল্পের ১৫০টি ফ্ল্যাট বিক্রির জন্য এনেছে। রাজধানীর গুলশান, বনানী, বারিধারা, ধানমন্ডি, সার্কিট হাউস রোড, খিলক্ষেতে তাদের আবাসন প্রকল্পে ১ হাজার ৫০০ থেকে ৫ হাজার ৫০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট রয়েছে। প্রতি বর্গফুটের দাম ৭ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা।
কনকর্ডের উপব্যবস্থাপক (বিক্রয়) খালেদ হোসেন বলেন, ‘নতুন ক্রেতাদের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক স্থাপনের জন্যই আমরা মেলায় অংশ নিয়েছি। এখন পর্যন্ত ভালো সাড়া মিলেছে। এরই মধ্যে পাঁচটি ফ্ল্যাটের বুকিং পেয়েছি।’
আবাসন খাতের আরেক স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান ইস্টার্ন হাউজিং (ইএইচএল) চারটি আবাসন ও একটি বাণিজ্যিক প্রকল্পের ফ্ল্যাট ও জায়গা বিক্রির জন্য এনেছে। রাজধানীর মিরপুর, গুলশান, সেগুনবাগিচা ও বনশ্রীতে তাদের আবাসন প্রকল্পে ফ্ল্যাটের সংখ্যা ১০৪। এসব ফ্ল্যাটের আয়তন ১ হাজার ৪০০ থেকে ৩ হাজার ৬০০ বর্গফুট। আর প্রতি বর্গফুটের দাম ৭ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা। প্রতিষ্ঠানটির হাতে রেডি ফ্ল্যাটও রয়েছে।
ইস্টার্ন হাউজিংয়ের বিক্রয় বিভাগের প্রধান সুমন কুমার সাহা বলেন, ‘মোহাম্মদপুর, লালমাটিয়া ও মিরপুর এলাকার ফ্ল্যাটের চাহিদা বেশি। আমাদের কাছে বেশির ভাগ ক্রেতাই খুঁজছেন ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার বর্গফুটের ফ্ল্যাট। ইতিমধ্যে আমরা দুটি ফ্ল্যাট বিক্রি করেছি। আরও বেশ কয়েকজন ক্রেতার সঙ্গে কথা হচ্ছে। আশা করছি বিক্রি আরও হবে।’
আনোয়ার ল্যান্ডমার্ক মেলায় তাদের ১০টি প্রকল্পের ১৫০টি ফ্ল্যাট বিক্রি জন্য এনেছে। বসুন্ধরা, বনানী, ধানমন্ডি ও বারিধারায় এসব প্রকল্পে ফ্ল্যাটের আকার ১ হাজার ৫০০ থেকে ৬ হাজার ৫০০ বর্গফুট। প্রতি বর্গফুটের দাম ৯ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা।
প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক মো. শহীদ পারভেজ বলেন, মেলায় আগত ক্রেতাদের কাছ থেকে ভালো সাড়া মিলছে। তবে প্রথম দুই দিন প্রত্যাশা অনুযায়ী ক্রেতা-দর্শনার্থী পাওয়া যায়নি।
আরেক প্রতিষ্ঠান ডোম-ইনো তাদের ৫০টি আবাসন প্রকল্পের ১ হাজার ২০০ ফ্ল্যাট বিক্রির এনেছে। রাজধানীর ধানমন্ডি, গুলশান, মহাখালী, শান্তিনগর, মালিবাগ ও মতিঝিল এলাকায় তাদের বিভিন্ন প্রকল্পের ফ্ল্যাটের আকার ৮৭৫ থেকে ১০ হাজার বর্গফুট। আর প্রতি বর্গফুটের দাম সাড়ে ৬ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা।
ডোম-ইনোর উপব্যবস্থাপক মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘মেলায় আমরা ইতিমধ্যে দুটি ফ্ল্যাটের বুকিং পেয়েছি। তার বাইরে অনেক ক্রেতার সঙ্গে কথাবার্তা হচ্ছে। আশা করছি, আরও বিক্রি হবে।’