মুনাফা কমলেও ওয়ালটনের আয় বেড়েছে ১৮ শতাংশ

বিশ্ববাজারে কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধি ও জাহাজভাড়া বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির ওপরও। এ কারণে আয় বৃদ্ধির পরও মুনাফা কমেছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজের। কোম্পানিটি গতকাল বৃহস্পতিবার অর্ধবার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ওই প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

ওয়ালটনের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সর্বশেষ গত জুলাই-ডিসেম্বর বা গত বছরের শেষ ছয় মাসে ওয়ালটন পণ্য বিক্রি করে ৩ হাজার ১৫৩ কোটি টাকা আয় করেছে। আগের বছর তথা ২০২০ সালের একই সময়ে এ আয় ছিল ২ হাজার ৬৬৫ কোটি টাকা। সেই হিসাবে আগের বছরের তুলনায় গত বছরের শেষ ৬ মাসে ওয়ালটনের আয় বেড়েছে ৪৮৮ কোটি টাকা বা ১৮ শতাংশ। তা সত্ত্বেও কোম্পানিটির মুনাফা কমেছে। কারণ, কাঁচামাল ও জাহাজভাড়া বৃদ্ধির কারণে কোম্পানির উৎপাদন খরচ আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩৮ শতাংশের বেশি বেড়ে গেছে।

ওয়ালটনের কোম্পানি সচিব মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্ববাজারে কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধি ও জাহাজভাড়া অনেক বেড়ে গেছে। এ কারণে উৎপাদন খরচও বেড়েছে। সেই তুলনায় আমরা পণ্যের দাম বাড়াইনি। এ কারণে আয় বৃদ্ধির পরও মুনাফা কমে গেছে। তাই জানুয়ারি থেকে ফ্রিজের দামের কিছুটা মূল্য সমন্বয় করা হয়েছে। আশা করছি ভবিষ্যতে তার সুফল পাব আমরা।’

নিয়ম অনুযায়ী, গতকাল সকালে দুই স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে কোম্পানিটির অর্ধবার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্য প্রকাশ করে। একই সঙ্গে একাধিক সংবাদমাধ্যমে ও কোম্পানির ওয়েবসাইটেও এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সেখানে দেখা যাচ্ছে, আগের বছর, অর্থাৎ ২০২০ সালের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে ওয়ালটনের বিক্রি হওয়া পণ্যের মোট উৎপাদন খরচ ছিল ১ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা। সর্বশেষ গত বছরের একই সময়ে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২ হাজার ১৯২ কোটি টাকায়।

কোম্পানিসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, পণ্যের উৎপাদন খরচ যে হারে বেড়েছে, সে হারে আয় বাড়েনি। আবার করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় পণ্যের দামও বাড়ানো হয়নি।

এদিকে মুনাফা কমে যাওয়ার খবরে গতকাল দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ওয়ালটনের শেয়ারের দামও কমেছে। দিন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ৪২ টাকা বা পৌনে ৪ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ১ হাজার ৯১ টাকায়।

গত জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে ওয়ালটন কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ৪৪৬ কোটি টাকা। তাতে অর্ধবার্ষিক শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৭৩ পয়সায়। অথচ ২০২০ সালের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী মুনাফা ছিল ৬৪৬ কোটি টাকা।