মোটরসাইকেল বিক্রিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১২%

করোনার ধাক্কা কাটিয়ে মোটরসাইকেল খাত ঘুরে দাঁড়ালেও খাতটি এখন নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় দাম সমন্বয় করতে হচ্ছে কোম্পানিগুলোকে। মোটরসাইকেল খাতের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন এসিআই মটরসের নির্বাহী পরিচালক সুব্রত রঞ্জন দাস। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন শুভংকর কর্মকার

সুব্রত রঞ্জন দাস নির্বাহী পরিচালক, এসিআই মোটরস

প্রশ্ন :

প্রথম আলো: করোনার পর মোটরসাইকেল খাতের ব্যবসা কতটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে? গত বছর বিক্রি কেমন হয়েছে?

সুব্রত রঞ্জন দাস: করোনাভাইরাস থেকে নিরাপত্তার স্বার্থে গত বছর মানুষের মধ্যে ব্যক্তিগত যানবাহনের প্রয়োজনীয়তা অনেক বেড়ে যায়। যার কারণে গত বছর মোটরসাইকেল বিক্রি ১২ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। তবে তা আমাদের প্রত্যাশার চেয়ে কম। অবশ্য আনুষঙ্গিক অবস্থা বিবেচনায় নিলে এ প্রবৃদ্ধি অনেক ভালো।

প্রশ্ন :

প্রথম আলো: মহামারির সময় বৈশ্বিক সরবরাহব্যবস্থা ভেঙে পড়েছিল। তাতে অনেক কোম্পানিই চাহিদা অনুযায়ী মোটরসাইকেল দিতে পারছিল না। সে অবস্থার উন্নতি হয়েছে কি?

সুব্রত রঞ্জন দাস: বিশ্বজুড়ে সেমিকন্ডাক্টরের স্বল্পতা, চীনে লকডাউনসহ বিভিন্ন কারণে গত বছর উন্নত স্পেসিফিকেশনে মোটরসাইকেলের স্বল্পতা ছিল। চলতি বছর এখনো এ সমস্যার সমাধান হয়নি।

প্রশ্ন :

প্রথম আলো: মোটরসাইকেলের উৎপাদন খরচ কেমন বেড়েছে?

সুব্রত রঞ্জন দাস: সাম্প্রতিক সময়ে ডলারের বিনিময় মূল্য প্রায় ১৩ থেকে ১৫ শতাংশ বেড়েছে। এ ছাড়া জাহাজ ভাড়া বৃদ্ধির কারণে আমাদের উৎপাদন খরচ বেড়েছে প্রায় ২০ শতাংশ। এ জন্য মোটরসাইকেলের মূল্যবৃদ্ধি অবশ্যম্ভাবী। আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে বাজারে মোটরসাইকেলের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখা। সে কারণে চলতি মাসে আমরা মাত্র আড়াই শতাংশ মূল্যবৃদ্ধি করেছি।

প্রশ্ন :

প্রথম আলো: এসিআই মোটরস নতুন কী মোটরসাইকেল নিয়ে আসছে বাজারে?

সুব্রত রঞ্জন দাস: আমরা ইতিমধ্যে বাজারে ব্লু-টুথ কানেকটিভিটি ও আপডেটেড সেফটি ফিচারসহ প্রিমিয়াম দুটি মডেলের মোটরসাইকেল এনেছি। সেগুলো হচ্ছে আর ফিফটিন ভি ফোর এবং এফজেডএক্স। এ ছাড়া খুব দ্রুতই ১৫০ সিসির আরও দুটি নতুন মডেলের মোটরসাইকেল নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছি।

প্রশ্ন :

প্রথম আলো: সামগ্রিকভাবে এসিআই মোটরসের ব্যবসার কী অবস্থা?

সুব্রত রঞ্জন দাস: আমাদের উন্নতমানের পণ্য, বিক্রয়–পরবর্তী সেবা ও সিআরএম (কাস্টমার রিলেশনশিপ ম্যানেজমেন্ট) মানুষের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এ কারণে আমরা আমাদের প্রতিটি পণ্যে ভালো করছি। আমাদের সোনালিকা, ফোটন, ওয়াটার পাম্প, কনস্ট্রাকশন ইকুইপমেন্ট এবং ইয়ামাহার উল্লেখযোগ্য বাজার হিস্যা রয়েছে। বর্তমানে ইয়ামাহা মোটরসাইকেল বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ড। এ খাতে আমাদের প্রবৃদ্ধি চলতি বছর ৭০ শতাংশের বেশি।