রবির আইপিও আবেদনের সময় বৃদ্ধির তথ্য সঠিক নয়

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুঠোফোন অপারেটর রবি আজিয়াটা লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিওর জন্য আবেদনের মেয়াদ আজ ২৩ নভেম্বর শেষ হচ্ছে। দেশের পুঁজিবাদারের ইতিহাসে সবচেয়ে বৃহৎ আইপিও নিয় আসতে যাওয়া টেলিকম অপারেটরটির আইপিও সাবসক্রিপশন মেয়াদ বৃদ্ধির কোনো রকমের সম্ভাবনা নেই।
এ–সংক্রান্ত গুজবে কান না দেওয়ার জন্য অপারেটর থেকে বলা হচ্ছে। একই রকম বলছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থাও।

জানতে চাইলে রবি আজিয়াটা লিমিটেডের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম বলেন, রবির আইপিও আবেদন জমাদানের সময়সীমা বাড়ছে এমন একটি গুজব বাজারে ছড়ানো হচ্ছে, যা একেবারেই ভিত্তিহীন। রবির আইপিও জমাদানের সময়সীমা পূর্বনির্ধারিত তারিখ অনুসারে আজ ২৩ নভেম্বর শেষ হচ্ছে, এ সময়সীমা আর কোনোভাবে বাড়বে না।

তিনি বলেন, ‘রবির আইপিও আবেদনকে ঘিরে বিনিয়োগকারীদের মাঝে যে উৎসাহ-উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে, তাতে আমরা বিশেষভাবে অনুপ্রাণিত। এ জন্য বিনিয়োগকারী, সরকার, নিয়ন্ত্রক সংস্থা, স্টেকহোল্ডার, গণমাধ্যমসহ আইপিও–সংশ্লিষ্ট সবাইকে আমরা ধন্যবাদ জানাই।’

রবি আইপিওতে প্রায় ৫২ কোটি ৩৮ লাখ শেয়ার ছাড়ছে। প্রতিটি শেয়ার বিক্রি করা হচ্ছে ১০ টাকা অভিহিত মূল্য বা ফেসভ্যালুতে। রবির প্রতিটি বাজারগুচ্ছ বা মার্কেট লটে রয়েছে ৫০০ শেয়ার। সেই হিসাবে প্রতি লট শেয়ারের আবেদনের জন্য একজন বিনিয়োগকারীকে পাঁচ হাজার টাকা জমা দিতে হচ্ছে। কোম্পানিটির আইপিও শেয়ারের মধ্যে ১৩ কোটি ৬০ লাখ ৫০ হাজার ৯৩৪টি শেয়ার বণ্টন করা হয়েছে কোম্পানিটির প্রায় ১ হাজার ৪০০ কর্মীর মধ্যে। এ ছাড়া আইপিওতে নির্ধারিত কোটায় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য বরাদ্দ রয়েছে প্রায় ১৫ কোটি ৫১ লাখ শেয়ার।

আরও পড়ুন

এ ছাড়া দেশে–বিদেশে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের জন্য রয়েছে ২৩ কোটি ২৬ লাখ ৪৫ হাজারের বেশি শেয়ার। এর মধ্যে দেশে বসবাসকারী বিনিয়োগকারীদের জন্য নির্দিষ্ট করা আছে প্রায় ১৯ কোটি ৩৯ লাখ এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য বরাদ্দ প্রায় ৪ কোটি শেয়ার। যেহেতু রবির প্রতি লটে ৫০০ শেয়ার রয়েছে, সেই হিসাবে দেশে বসবাসকারী বিনিয়োগকারীদের মধ্য থেকে ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৭৪২ জন বিনিয়োগকারী এক লট করে শেয়ার পাবেন। আর প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য বরাদ্দকৃত শেয়ার থেকে ৭৭ হাজার ৫৪৮ জন পাবেন এক লট করে শেয়ার।