রিহ্যাব থেকে ঐশী প্রপার্টিজ লিমিটেডকে বহিষ্কার
রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে ঐশী প্রপার্টিজ লিমিটেড নামক একটি প্রতিষ্ঠানকে।
রিহ্যাব বলছে, প্রতিষ্ঠানটি সংগঠনের গঠনতন্ত্র বিরোধী কার্যকলাপে যুক্ত থাকায় এটিকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
রিহ্যাব পরিচালনা পর্ষদের ১৬তম সভায় সর্বসম্মতভাবে প্রতিষ্ঠানকে রিহ্যাব থেকে বহিষ্কার করা হয়।
ঐশী প্রপার্টিজ লিমিটেড (রিহ্যাব সদস্য নম্বর # ১৩৬৪/২০১৩) কোম্পানির চেয়ারম্যান- মো. আইয়ুব আলী। এখন থেকে এই কোম্পানিটি রিহ্যাব সদস্যপদ সংবলিত সিল, বিলবোর্ড ও বিজ্ঞাপন প্রচার-প্রদর্শনসহ ‘রিহ্যাব সদস্য’ পরিচয়ে কোথাও কোনো সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ বা আবাসন ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবে না।
জানতে চাইলে রিহ্যাবের সহসভাপতি সোহেল রানা প্রথম আলোকে বলেন, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সংগঠনের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের কারণে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর ফলে প্রতিষ্ঠানটির কোনো কার্যক্রম বা কর্মকাণ্ডের দায়দায়িত্ব রিহ্যাব নেবে না।
শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে ১৭ সেপ্টেম্বর সংগঠনের কার্যালয়ে হাজির হয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করতে আমাকে চিঠি দেয় রিহ্যাব কর্তৃপক্ষ। তবে করোনাভাইরাসের কারণে আমি দুই মাস সময় চেয়েছিলাম। কিন্তু সেই সুযোগ না দিয়ে আমার প্রতিষ্ঠানকে অন্যায়ভাবে বহিষ্কার করা হলো। যদিও আমি রিহ্যাবের সুনাম নষ্ট হয় এমন কোনো কাজ করি নাই।
অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে ঐশী প্রপার্টিজের চেয়ারম্যান মো. আইয়ূব আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে ১৭ সেপ্টেম্বর সংগঠনের কার্যালয়ে হাজির হয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করতে আমাকে চিঠি দেয় রিহ্যাব কর্তৃপক্ষ। তবে করোনাভাইরাসের কারণে আমি দুই মাস সময় চেয়েছিলাম। কিন্তু সেই সুযোগ না দিয়ে আমার প্রতিষ্ঠানকে অন্যায়ভাবে বহিষ্কার করা হলো। যদিও আমি রিহ্যাবের সুনাম নষ্ট হয় এমন কোনো কাজ করি নাই।’
আইয়ূব আলী দাবি করেন, ‘গত জুলাইয়ে আমিসহ রিহ্যাবের কয়েকজন সদস্য সংগঠনের বিভিন্ন আর্থিক অনিয়মের বিষয়ে রিহ্যাব সভাপতির বক্তব্য জানতে চিঠি দিয়েছিলাম। মনে হয়, সেটির জের ধরে আমার প্রতিষ্ঠানকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’
২০১২ সাল থেকে ব্যবসা করছে ঐশী প্রপার্টিজ। ইতিমধ্যে রাজধানীতে ছয়টি আবাসন প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করেছে তারা। বর্তমানে মগবাজার ও দিলু রোডে প্রতিষ্ঠানটির প্রকল্প চলমান রয়েছে।