সুষ্ঠু ও ভয়ভীতিমুক্ত ভোটের আশ্বাস

বিজিএমইএ

তৈরি পোশাক শিল্পমালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও ভয়ভীতিমুক্ত করার আশ্বাস দিয়েছে সম্মিলিত পরিষদ।

রাজধানীর গুলশানে বিজিএমইএর নির্বাচনকেন্দ্রিক এই জোটের নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধন উপলক্ষে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলা হয়। সংবাদ সম্মেলনে সম্মিলিত পরিষদের প্রধান নির্বাচন সমন্বয়কারী আব্দুস সালাম মুর্শেদী এবং প্যানেল লিডার ও সভাপতি প্রার্থী ফারুক হাসান উপস্থিত ছিলেন ।

বিজিএমইএর নির্বাচনকেন্দ্রিক আরেক জোট স্বাধীনতা পরিষদ গত রোববার সংবাদ সম্মেলন করে গত নির্বাচনে অনিয়ম হয়েছে, এমন অভিযোগ করে। সেই সঙ্গে এবার সুষ্ঠু নির্বাচন দাবি করে তারা। গতবার সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরাম যৌথভাবে নির্বাচন করেছিল। তাই উভয় জোটের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছে স্বাধীনতা পরিষদ।

এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আব্দুস সালাম মুর্শেদী বলেন, আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। কোনো রকম ভয়ভীতি থাকবে না। একজনের ভোট অন্যজন দিতে পারবেন না। এর আগে তিনি বলেন, ‘ভালো সেবা দেওয়ার জন্য সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরামের মধ্যে ঐক্য হয়েছিল। তার ভিত্তিতে দুবার সমঝোতার মাধ্যমে যোগ্যদের নিয়ে পরিচালনা পর্ষদ করা হয়েছিল। তবে দুই মেয়াদে আমরা দেখেছি, সদস্যরা প্রত্যাশা অনুযায়ী সেবা পাননি।’

গত সপ্তাহে ফোরামের এক অনুষ্ঠানে জোটটির একজন সমর্থক অভিযোগ করে বলেন, সম্মিলিত পরিষদ থেকে সভাপতি হওয়ার পর এই জোটের নেতারা সাংসদ ও মন্ত্রী হতে বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েন। কেউ কেউ নিজেদের ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে বেশি মনোযোগী হন।

এই অভিযোগের বিষয়ে আব্দুস সালাম মুর্শেদী বলেন, পোশাক খাতের উদ্যোক্তাদের ১৪ জন সাংসদ ও ৪ জন মন্ত্রী হয়েছেন। যোগ্য বলেই তাঁদের সুযোগ দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। এই ধরনের অভিযোগ করে পোশাক খাতের মর্যাদা ছোট করা হয়েছে। নির্বাচনে জামানত হারানোর ভয় থেকে ফোরামের নেতারা উল্টাপাল্টা কথা বলছেন বলে পাল্টা অভিযোগ করেন তিনি।

বিজিএমইএর বর্তমান কমিটির সমালোচনা করে আব্দুস সালাম মুর্শেদী বলেন, তারা গণমাধ্যমের সঙ্গে পোশাক খাতের দূরত্ব সৃষ্টি করেছে। করোনার মতো কঠিন সময়েও পর্ষদের নেতারা অফিস করেননি। ডিজিটাল বাংলাদেশের সুযোগ নিয়ে ঘরে বসে অনলাইনে মিটিং করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনের পর সম্মিলিত পরিষদের নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত পরিষদের সভাপতি ও বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম প্রমুখ।