সেন্ট মার্টিনের পথে প্রমোদতরির যাত্রা শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার

প্রমোদতরি বে ওয়ান ক্রুজ
প্রথম আলো ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম থেকে সেন্ট মার্টিন নৌপথে প্রমোদতরি ‘বে ওয়ান ক্রুজের’ যাত্রা শুরু হচ্ছে আগামী বৃহস্পতিবার। প্রথমবারের মতো এই নৌপথে প্রমোদতরির আনুষ্ঠানিক যাত্রার ঘোষণা দিয়েছে বেসরকারি কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স লিমিটেড। গতকাল সোমবার ‘বে ওয়ান ক্রুজ’ জাহাজে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ ঘোষণা দেন কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ রশিদ। জাহাজটি তখন কর্ণফুলী নদীর পতেঙ্গায় ওয়াটার বাস টার্মিনালে নোঙর করে রাখা হয়েছিল।বে

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সপ্তাহে তিন দিন ‘বে ওয়ান ক্রুজ’ পতেঙ্গা ওয়াটার বাস টার্মিনাল থেকে সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিমানে আসা যাত্রীরা বিমানবন্দর থেকে নেমে সামান্য দূরত্বে অবস্থিত পতেঙ্গায় ওয়াটার বাস টার্মিনাল থেকে জাহাজে উঠতে পারবেন। একইভাবে সেন্ট মার্টিন থেকে জাহাজে করে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় এসে আবারও বিমানে ফিরে যেতে পারবেন।

কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ রশিদ বলেন, সেন্ট মার্টিন আসা-যাওয়ার ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে সর্বনিম্ন দুই হাজার টাকা। আধুনিক সুযোগ–সুবিধাসম্পন্ন বিলাসবহুল কেবিনের ভাড়া আসা–যাওয়া মিলিয়ে ৫০ হাজার টাকা। তবে সবচেয়ে বেশি রুম আছে তিন থেকে চার হাজার টাকার মধ্যে। নাশতা-খাবারসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা রয়েছে এই জাহাজে। জাহাজে রাত্রিযাপনের পাশাপাশি সমুদ্র বিনোদনেরও সুযোগ আছে।  

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, জাহাজটির দৈর্ঘ্য ৪৫০ ফুট এবং প্রস্থ ৫৫ ফুট। এটি ঘণ্টায় ২৪ নটিক্যাল মাইল বেগে চলতে সক্ষম। এতে আছে প্রেসিডেন্ট স্যুট, বাংকার বেড কেবিন, টু ইন বেড কেবিন, আরামদায়ক চেয়ারসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরির আসন। এ ছাড়া একটি অভিজাত রেস্তোরাঁ, স্বয়ংক্রিয় ভেন্ডিং মেশিন এবং কয়েন পরিচালিত ঝরনাও আছে। জাহাজটি পরিচালনায় থাকবেন ১৭ জন নাবিক। এর বাইরে যাত্রীদের সেবায় থাকবেন আরও ১৫০ জন।

অনুষ্ঠানে এম এ রশিদ বলেন, জাহাজটির প্রতিদিনের পরিচালন খরচ ১৮ থেকে ২০ লাখ টাকা। প্রত্যাশা অনুযায়ী যাত্রী পাওয়া গেলে এই নৌপথে চলবে জাহাজটি।
জাপান থেকে পুরোনো এই জাহাজটি গত সেপ্টেম্বরে চট্টগ্রামে আনা হয়। আনুষঙ্গিক মেরামত করে বিলাসবহুল রূপ দেওয়া হয় জাহাজটির। পরীক্ষামূলকভাবে একবার চট্টগ্রাম–সেন্ট মার্টিন নৌপথে চালানো হয়। জাহাজটি সেন্ট মার্টিন দ্বীপের প্রায় পাঁচ কিলোমিটার অদূরে নোঙর করে রাখা হবে। এরপর সেখানে অপেক্ষমাণ ছোট জাহাজে তুলে যাত্রীদের সেন্ট মার্টিন নেওয়া হবে।