৪৫ হাজার কোটি টাকার রপ্তানি কমবে

শীর্ষ ১২ গন্তব্যে ৭০ শতাংশ রপ্তানিই বর্তমানে বাণিজ্যসুবিধার অধীনে হচ্ছে, যা এলডিসি থেকে উত্তরণের পর থাকবে না।

করোনার কারণে দেশের পণ্য রপ্তানি খাত অনেকটাই বিপর্যস্ত। সেই ধকল কবে নাগাদ কাটবে, তা কেউ বলতে পারছেন না। এর মধ্যে পণ্য রপ্তানিতে নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসতে পারে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ। সেটি ঘটলেই রাতারাতি বাজারসুবিধা হারিয়ে তীব্র প্রতিযোগিতার মুখে পড়তে হবে রপ্তানিকারকদের। তাতে বাড়তি শুল্কের চাপে পড়ে রপ্তানি আয় ৫৩৭ কোটি ডলার বা ৪৫ হাজার ৬৪৫ কোটি টাকা কমতে পারে, যা দেশের মোট রপ্তানির প্রায় ১৪ দশমিক ২৮ শতাংশ।

এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পথে থাকা দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের ক্ষতির আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। অন্য দেশগুলোর মধ্যে প্রতিবেশী মিয়ানমারের রপ্তানি আয় ৪৯ কোটি ৯১ লাখ ও নেপালের ২ কোটি ১ লাখ ডলার কমতে পারে। এ ছাড়া লাওসের ৬ কোটি ৬৩ লাখ ও তিমুর লেসেথোর মাত্র ৪২ হাজার ডলারের পণ্য রপ্তানি ঝুঁকিতে পড়বে।

এলডিসি থেকে উত্তরণে বাণিজ্যে কী প্রভাব পড়তে পারে, তা বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। তাতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হলেই শীর্ষ বাজারগুলোয় পণ্য রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। কারণ, বাংলাদেশের মোট রপ্তানির ৭০ শতাংশই বর্তমানে বাণিজ্যসুবিধার আওতায় শীর্ষ ১২টি বাজারে হচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র, মধ্যপ্রাচ্য, অস্ট্রেলিয়াসহ কয়েকটি বাজারে রপ্তানি বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।

জানতে চাইলে বাণিজ্যসচিব মো. জাফর উদ্দীন প্রথম আলোকে বলেন, ‘উন্নয়নশীল দেশ হলেও কয়েক বছর বিদ্যমান বাণিজ্যসুবিধা পাব। তবে কিছু পাব না ধরে নিয়েই আমরা কাজ করছি। আমরা এখন বসে নেই। ইতিমধ্যে মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল (এফটিএ) করা শুরু করেছি। ভুটানের সঙ্গে এফটিএ হয়ে গেছে। পাইপলাইনে আছে নেপাল, শ্রীলঙ্কা, জাপান। উন্নয়নশীল দেশ হয়ে যাওয়ার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করাকেই সরকার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে।’ তিনি জানান, স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত যেসব দেশ ও অঞ্চলের সঙ্গে ৪৫টি বাণিজ্য চুক্তি হয়েছে, সেগুলো আবার পুনরুজ্জীবিত করতে ইতিমধ্যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিন বছরে বাংলাদেশের গড় রপ্তানি ছিল ৪ হাজার ২১৪ কোটি ডলার (শুল্কসহ আমদানিকারক দেশের হিসাব অনুযায়ী)। তার মধ্যে ৫৮ শতাংশের গন্তব্য ছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে ১৪ শতাংশ, কানাডা ও জাপানে ৩ শতাংশ করে এবং অস্ট্রেলিয়া, চীন, ভারত, রাশিয়া ও তুরস্কে ২ শতাংশ করে রপ্তানি হয়। আর রপ্তানিতে শীর্ষে থাকা ১২টি পণ্যের প্রথম ১১টিই হচ্ছে পোশাকের বিভিন্ন আইটেম। বাকি একটি হচ্ছে চামড়ার জুতা। সব মিলিয়ে পণ্য রপ্তানির ৭৬ শতাংশই এ ১২ খাত থেকে আসছে।

ডব্লিউটিওর হিসাব অনুযায়ী, এলডিসি থেকে উত্তরণ ঘটলে বাংলাদেশের ৪৮৪ কোটি ডলারের পোশাক, ১৮ কোটি ডলারের বস্ত্র, ১৬ কোটি ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, ১১ কোটি ডলারের মাছ ও হিমায়িত খাদ্য রপ্তানি কমবে।

স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত যেসব দেশ ও অঞ্চলের সঙ্গে ৪৫টি বাণিজ্য চুক্তি হয়েছে, সেগুলো আবার পুনরুজ্জীবিত করতে ইতিমধ্যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
মো. জাফর উদ্দীন,বাণিজ্যসচিব

এলডিসি থেকে বেরিয়ে গেলে শীর্ষ রপ্তানি পণ্য ও বাজারে কীভাবে ধাক্কা খাবে বাংলাদেশ, তা খুবই পরিষ্কার। যেমন তৈরি পোশাকের ৬২ শতাংশের গন্তব্যই ইইউ। অগ্রাধিকারমূলক বাজারসুবিধা বা জিএসপি সুবিধা থাকায় এ বাজারে কোনো শুল্ক না দিয়েই প্রবেশ করতে পারে বাংলাদেশি পণ্য। মূলত এ সুবিধার ফলেই ইইউর বাজারে শক্ত অবস্থান গড়তে পেরেছেন দেশের উদ্যোক্তারা।

আগামী ২০২৪ সালে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হলেও পরের তিন বছর ইইউতে জিএসপি সুবিধা পাওয়া যাবে। তারপর জিএসপি প্লাসের অন্তর্ভুক্ত হতে না পারলে বাজারটিতে প্রবেশে বাংলাদেশের শীর্ষ ১২ পণ্য (পোশাক ও জুতা খাত) রপ্তানিতে প্রায় ১০ শতাংশ হারে শুল্ক দিতে হবে। তাতে ইইউতেই ৫২৮ কোটি ডলারের রপ্তানি কমে যেতে পারে। তার মধ্যে তৈরি পোশাকই হবে ৪৮৫ কোটি ডলার, যা দেশীয় মুদ্রায় ৪১ হাজার ২২৫ কোটি টাকার সমান। আরেকটি বিষয় হচ্ছে ভিয়েতনাম ও ইইউর মধ্যে এফটিএ হওয়ায় বাজারটিতে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিকারকদের তীব্র প্রতিযোগিতায় পড়তে হবে।

ইইউতে জিএসপি প্লাস সুবিধা বাংলাদেশ নিতে পারবে কি না, তা নিয়ে বড় ধরনের বিতর্ক রয়েছে। কারণ, জিএসপি সুবিধা হারালে বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে লাভজনক হচ্ছে জিএসপি প্লাস। তবে সেটি পাওয়ার জন্য তিনটি শর্ত রয়েছে। প্রথম শর্ত হচ্ছে বাংলাদেশকে ২৭টি কনভেনশন অনুসমর্থন ও বাস্তবায়ন করতে হবে। ইতিমধ্যে ২৬টি কনভেনশন অবশ্য সই করেছে বাংলাদেশ। শিশুশ্রমের বয়সসংক্রান্ত কনভেনশনটি বাংলাদেশ সই করেনি। দ্বিতীয় শর্তটি বাংলাদেশের জন্য সমস্যা নয়। তবে তৃতীয় শর্ত বাংলাদেশের বিপক্ষে রয়েছে। সেটি হচ্ছে ইইউ থেকে এলডিসি যেসব জিএসপি সুবিধা পায়, তার ৬.৫ শতাংশের বেশি হিস্যা হলে জিএসপি প্লাসের জন্য যোগ্য হবে না। বাংলাদেশের হিস্যা বর্তমানে ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ। ২০২৪ সালের শুরুর দিকে ইইউ জিএসপি নিয়ে নতুন আইন করবে। তখন এ বিষয়ে পরিবর্তন করলে বাংলাদেশের কপাল খুলবে। না হলে বাংলাদেশ জিএসপি প্লাস পাবে না। জিএসপি প্লাসের অধীনে ট্যারিফ লাইনের ৬৬ শতাংশ শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়া যায়। তার মধ্যে পোশাক ও বস্ত্র খাতের সব ধরনের পণ্যই রয়েছে।

ইইউতে জিএসপি প্লাসের পর লাভজনক হচ্ছে স্ট্যান্ডার্ড জিএসপি। সেটির অধীনে আড়াই থেকে ৩ শতাংশ পয়েন্ট পর্যন্ত শুল্ক রেয়াত পাওয়া যায়। তার মানে ইইউতে গড়ে ১২ শতাংশ শুল্ক আরোপ থাকলে স্ট্যান্ডার্ড জিএসপির অধীনে সাড়ে ৯ শতাংশ দিতে হবে। তবে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে স্ট্যান্ডার্ড জিএসপির অধীনে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়া যাবে না।

জানতে চাইলে নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম গতকাল বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে আমরা কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। ব্যবসা নিয়ে নতুন করে চিন্তাভাবনা করতে হচ্ছে। যেসব উদ্যোক্তা ব্যবসা সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করেছিলেন, তাঁরা সেখান থেকে সরে আসছেন। কারণ, পোশাকের চাহিদা কমে যাওয়ায় ব্যবসা সংকুচিত হওয়ার শঙ্কায় রয়েছি আমরা। এমন পরিস্থিতিতে এলডিসি থেকে উত্তরণের কারণে চলমান বাণিজ্যসুবিধা হারালে পণ্য রপ্তানি পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে।’

মোহাম্মদ হাতেম আরও বলেন, ‘আমরা মনে করছি, এলডিসি থেকে উত্তরণের জন্য জোরাজুরি করছি। তবে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় সেটি হলে আমরা আরও কিছুটা সময় পেতাম। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে আমরা আমাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছি।’

এলডিসি হিসেবে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানিতে ইইউ ছাড়া অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড, জাপান, তুরস্ক ও কানাডা শুল্কমুক্ত সুবিধা দিচ্ছে। এর বাইরে রাশিয়া ও বেলারুশ ৭১টি পণ্যে তাদের জিএসপির (জেনারালাইজ সিস্টেমস অব প্রেফারেন্স) আওতায় বাংলাদেশকে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয়। অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়া প্রেফারেন্সিয়াল ট্যারিফ ফর লিস্ট ডেভেলপড কান্ট্রিজের আওতায় ৪ হাজার ৮২০টি পণ্যে সব স্বল্পোন্নত দেশকে শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রদান করেছে। একইভাবে ৮ হাজার ২৫৬ পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিচ্ছে চীন।

বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হলে ইইউ ছাড়াও কানাডা, জাপান, কোরিয়া, চীন ও নিউজিল্যান্ডের রপ্তানি বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। কারণ, তখন শুল্কমুক্ত সুবিধা বলবৎ থাকবে না। নিয়মিত শুল্ক দিয়েই পণ্য রপ্তানি করতে হবে। সেই হিসেবে এলডিসির তালিকা থেকে বেরিয়ে গেলে কানাডার বাজারে বাংলাদেশের ১২টি শীর্ষ রপ্তানি পণ্যের মধ্যে ১০টিতেই ১৬ থেকে ১৮ শতাংশ শুল্ক ও কর দিতে হবে। তাতে ৫৩ কোটি ৬১ লাখ ডলারের রপ্তানি হারানোর শঙ্কা রয়েছে, যা দেশটিতে মোট রপ্তানির ৪২ শতাংশ।

ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, এলডিসি থেকে উত্তরণের জন্য আমাদের আরও সময় নেওয়া প্রয়োজন। এটিই সবচেয়ে নিরাপদ রাস্তা। এলডিসি তালিকা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর এলডিসির বাণিজ্যসুবিধা পাওয়া খুব কঠিন। কারণ, বৈশ্বিক ব্যবসা-বাণিজ্যের গতি–প্রকৃতি বর্তমানে অনিশ্চিত। তা ছাড়া ডব্লিউটিও নিজেই আছে চ্যালেঞ্জের মুখে।
আবদুর রাজ্জাক, চেয়ারম্যান, বেসরকারি গবেষণা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের (আরএপিআইডি)

অন্যদিকে উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার পর জাপানের বাজারে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানিতে ৮ থেকে ১১ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে। এতে করে ৩৮ কোটি ৮১ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি কমতে পারে, যা দেশটিতে মোট রপ্তানির সাড়ে ৩০ শতাংশের মতো। এ ছাড়া কোরিয়ায় ৪ থেকে ১২ শতাংশ শুল্ক দিয়ে পণ্য রপ্তানি করতে হবে। তাতে দেশটিতে রপ্তানি কমার আশঙ্কা ৮ কোটি ৭৭ লাখ ডলার। বর্তমানে কোরিয়ায় বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির পরিমাণ ৩১ কোটি ডলার। সেই হিসাবে ২৭ শতাংশ রপ্তানি কমার আশঙ্কা রয়েছে। একইভাবে চীন ও নিউজিল্যান্ডে যথাক্রমে ৭ কোটি ৬৫ লাখ এবং ১ কোটি ডলারের রপ্তানি কমতে পারে।

তবে নেতিবাচক সংবাদের পাশাপাশি বাংলাদেশকে সুখবরও দিয়েছে ডব্লিউটিও। সেটি হলো এলডিসি থেকে বেরিয়ে গেলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি ৭ দশমিক ৩৪ শতাংশ বা ৪৪ কোটি ডলারের রপ্তানি বাড়তে পারে। শ্রমিক ইস্যুতে ২০১৩ সালে বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা স্থগিত করে মার্কিন সরকার। সে সময় বাজারটিতে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ছিল ৪৯৪ কোটি ডলারের। গত বছর সেটি বেড়ে ৫৯৩ কোটি ডলারে দাঁড়ায়। একইভাবে মধ্যপ্রাচ্যে রপ্তানি ১০ কোটি ও অস্ট্রেলিয়ায় ৭ কোটি ৫৮ লাখ ডলার বৃদ্ধি পাবে।

জানতে চাইলে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের (আরএপিআইডি) চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্য থেকে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, এলডিসি থেকে উত্তরণের জন্য আমাদের আরও সময় নেওয়া প্রয়োজন। এটিই সবচেয়ে নিরাপদ রাস্তা। এলডিসি তালিকা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর এলডিসির বাণিজ্যসুবিধা পাওয়া খুব কঠিন। কারণ, বৈশ্বিক ব্যবসা-বাণিজ্যের গতি–প্রকৃতি বর্তমানে অনিশ্চিত। তা ছাড়া ডব্লিউটিও নিজেই আছে চ্যালেঞ্জের মুখে।’

আবদুর রাজ্জাক আরও বলেন, ২০২৪ সালে এলডিসি থেকে উত্তরণ ঘটাতে চাইলে এখনই বড় দেশগুলোর সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) করার উদ্যোগ দরকার। একেকটি এফটিএ করতে ৭ থেকে ১০ বছর সময় লাগে। ইইউ ও ভিয়েতনামের এফটিএ করতে ১০ বছর সময় লেগেছে।

করোনাভাইরাসের কারণে আমরা কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। ব্যবসা নিয়ে নতুন করে চিন্তাভাবনা করতে হচ্ছে। যেসব উদ্যোক্তা ব্যবসা সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করেছিলেন, তাঁরা সেখান থেকে সরে আসছেন। কারণ, পোশাকের চাহিদা কমে যাওয়ায় ব্যবসা সংকুচিত হওয়ার শঙ্কায় রয়েছি আমরা। এমন পরিস্থিতিতে এলডিসি থেকে উত্তরণের কারণে চলমান বাণিজ্যসুবিধা হারালে পণ্য রপ্তানি পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে।
মোহাম্মদ হাতেম,সহসভাপতি, নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ