শেষ দিনে রিটার্ন দিতে উপচে পড়া ভিড়

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বিভিন্ন কর অঞ্চলে গিয়ে দেখা যায় প্রতিটি বুথের সামনেই লম্বা লাইন।
ছবি: মাকসুদা আজীজ

আয়কর রিটার্ন দাখিলের শেষ দিন আজ সোমবার (৩০ নভেম্বর)। শেষ সময়ে উপচে পড়া ভিড় দেখা যায় কর অঞ্চলগুলোয়। আজ দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বিভিন্ন কর অঞ্চলে গিয়ে দেখা যায় প্রতিটি বুথের সামনেই লম্বা লাইন। করদাতারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে আয়কর রিটার্ন জমা দিচ্ছেন।

মিরপুর থেকে ঢাকার কর অঞ্চল–১১–তে রিটার্ন দিতে আসা চাকরিজীবী এ কে এম আনিসুর রহমান জানান, সকাল সকালই তিনি চলে এসেছেন রিটার্ন দিতে। বলেন, এত লম্বা লাইন। গেট থেকে বুথ পর্যন্ত হেঁটে যেতে ২৫ মিনিটের মতো লাগছে। ভেতরে অবশ্য দ্রুত কাজ হচ্ছে। তিনি বলেন, করোনার কারণে বের হওয়া ঝামেলা মনে হচ্ছিল। কিন্তু শেষ দিনে এসে আরও ঝামেলা মনে হচ্ছে।

করদাতা ও কর কর্মকর্তারা বলছেন, রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় না বাড়ানোর কারণে কর অঞ্চলগুলোয় শেষ দিন সেবাগ্রহীতার সংখ্যা বেড়েছে। কর অঞ্চল কর পরিদর্শক সায়রা জেরিন বলেন, ১১ জোনের ৪টা বুথ। প্রতিটিতে তিন থেকে চার কর্মদিবস ধরে প্রতিদিন ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ রিটার্ন জমা পড়েছে। তিনি বলেন, ‘১ জুলাই থেকে রিটার্ন জমা শুরু হলেও প্রতিবার শেষের দিকে এসে করদাতারা ভিড় করেন। এতে আমাদের সবারই কষ্ট হয়। যদি তাঁরা আগে এসে শুরু হতেন, তাহলে সমস্যা কম হতো। সকাল থেকে একেকটা বুথে পাঁচ শতাধিক রিটার্ন জমা পড়েছে।’

আরও পড়ুন

কর অঞ্চল–৭–এ রিটার্ন দিতে আসা করদাতা জিয়াউল কাদের বলেন, ‘আমি অপেক্ষা করছিলাম অনলাইনে রিটার্ন দেওয়ার পদ্ধতি হয়তো এই করোনার মধ্যে শুরু হবে। তা না হওয়ায় শেষ দিন আসতেই হলো রিটার্ন জমা দিতে।’

করোনা পরিস্থিতির কারণে এ বছর আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় বাড়তে পারে বলে অনেকের ধারণা ছিল। তবে গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম জানিয়ে দেন সময় বাড়ছে না। তিনি বলেন, অন্য সব কার্যক্রম যেখানে স্বাভাবিক, তাই এবার আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় বাড়ছে না। ৩০ নভেম্বরই রিটার্ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। এনবিআর চেয়ারম্যান আরও জানান, নির্ধারিত সময়ে যাঁরা আয়কর রিটার্ন দিতে পারবেন না, তাঁরা সংশ্লিষ্ট কর অফিসে আবেদন করতে পারবেন। তবে ২ শতাংশ জরিমানার বিষয়টি বাধ্যতামূলক নয়। কোনো গ্রাহক সঠিক সময়ে কেন রিটার্ন জমা দিতে পারেননি, তার যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারলে জরিমানা মওকুফ করা হবে। কর কমিশনারের কাছে যদি কারণ যৌক্তিক মনে না হয়, তবে জরিমানা গুনতে হবে।