সৌরবিদ্যুতের সরঞ্জাম আমদানিতে শুল্ক ১ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবি

বিজিএমইএর লোগোছবি: সংগৃহীত

কার্বন নিঃসরণ কমাতে নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য সৌরবিদ্যুৎ বা সোলার প্যানেলের সরঞ্জাম আমদানিতে শুল্ক ১ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবি করেছে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে দেওয়া এক চিঠিতে এ দাবি জানিয়েছেন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান। গত বৃহস্পতিবার দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, দেশে জ্বালানিসংকট নিরসনের জন্য শিল্প খাতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের জন্য উদ্যোক্তাদের উদ্বুদ্ধ করছে সরকার। কিন্তু সৌরি বিদ্যুতের সরঞ্জামের ওপর উচ্চ হারে শুল্ক আরোপ থাকায় তা শিল্প কারখানায় স্থাপন করা উদ্যোক্তাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।

বিজিএমইএর সভাপতি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালের মধ্যে ৪০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের ভিশন নিয়েছেন। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির ফলে উৎপাদন খরচও বাড়ছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার সহজলভ্য হলে উৎপাদন ব্যয় কমবে এবং উৎপাদন খরচ বাড়বে।

চিঠিতে ফারুক হাসান বলেন, সৌরবিদ্যুৎ স্থাপন তৈরি পোশাক কারখানাগুলোতে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বৃদ্ধির সঙ্গে বিদ্যুৎ খরচ সাশ্রয় এবং কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমন কমানোর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনসহ প্রধানমন্ত্রীর নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের ভিশন অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। বিজিএমইএ ২০৩০ সালের মধ্যে রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানায় কার্বন নিঃসরণ ৩০ শতাংশ কমিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘আমাদের পোশাক কারখানাগুলো ইতিমধ্যে সোলার প্যানেলভিত্তিক নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে বিনিয়োগ করছে। কিন্তু সোলার প্যানেলের সরঞ্জাম আমদানির ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপ করা দেশের নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহারকে বাধাগ্রস্ত করছে।’

চিঠিতে ফারুক হাসান জানান, সোলার প্যানেল, ইনভার্টার, অ্যালুমিনিয়াম অবকাঠামো, ডিসি কেব্‌ল, ফুয়েল সেভার কন্ট্রোলারসহ সাত ধরনের যন্ত্রপাতিতে ৫৮ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক রয়েছে। সব কটি যন্ত্রপাতির ওপর শুল্ক ১ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবি করেন তিনি।