ভারতে এবার রসুনের দাম বেড়ে দ্বিগুণ

ফাইল ছবি

ভারতের বাজারে পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধির পর এবার রসুনের দামও আকাশ ছুঁয়েছে। হিন্দুস্তান টাইমসের সংবাদে বলা হয়েছে, মূলত সরবরাহ কমে যাওয়ায় রসুনের দাম অনেক জায়গায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে।

গত কয়েক দিনে ভারতের কিছু অঞ্চলে রসুনের দাম কেজিতে ৪০০ টাকা পর্যন্ত উঠে গেছে। আবহাওয়ার চরমভাবাপন্নতার কারণে উৎপাদন ও সরবরাহ কমে যাওয়ায় এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে সংবাদে বলা হয়েছে।

ভারতীয়দের রসনার অন্যতম প্রধান উপকরণ রসুন। ফলে বাজারে এর চাহিদাও অনেক বেশি। বাজার বিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন, রসুনের এই মূল্যবৃদ্ধির ধারা চলতি বছর বা এ মাসের শেষ পর্যন্ত চলবে।

ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যম জানিয়েছে, পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধির পেছনে যে কারণ ছিল, রসুনের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। সেটা হলো, আবহাওয়ার কারণে ফসলের ক্ষতি হওয়া। এর আগে চলতি বছর অতিবৃষ্টির কারণে ভারতের বাজারে টমেটোর দাম কেজিতে ২০০ রুপি উঠেছিল। এরপর পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেলে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে, যার প্রভাবে বাংলাদেশের বাজারেও পেঁয়াজের দাম বেড়েছে।

আবহাওয়ার চরমভাবাপন্নতার সর্বশেষ সংস্করণ হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম। এর প্রভাবে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের রাজ্য তামিলনাড়ুসহ বেশ কিছু অঞ্চলে ব্যাপকভাবে ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এবারের ঘূর্ণিঝড়ে রসুনের ক্ষতি হওয়ায় বাজারে সরবরাহঘাটতি তৈরি হয়েছে এবং সে কারণে দাম এভাবে হঠাৎ দ্বিগুণ হয়ে গেছে বলে হিন্দুস্তান টাইমসের সংবাদে বলা হয়েছে।

ধারণা করা হচ্ছে, নতুন ফসল না ওঠা পর্যন্ত ভারতের বাজারে রসুনের মূল্যবৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। চলতি মাসের শেষ দিকে নতুন ফসল বাজারে ওঠার কথা; এরপর দাম কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। সাধারণত শীত মৌসুমে রসুনের উৎপাদন ও সরবরাহ কমে গেলে দাম বেড়ে যায়।

ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর, অক্টোবর মাসের তুলনায় নভেম্বরে পেঁয়াজ ও টমেটোর দাম যথাক্রমে ৫৮ ও ৩৫ শতাংশ বেড়েছে। তার প্রভাব পড়েছে খাবারের খরচেও। গত মাসে ভারতের পরিবারে নিরামিষ ও আমিষ থালি রান্নার খরচ বেড়েছে যথাক্রমে ১০ ও ৫ শতাংশ। নভেম্বরে ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। ফলে নিরামিষের চেয়ে আমিষ থালির খরচ কিছুটা হলেও কম বেড়েছে।

শুধু তা-ই নয়, নিরামিষ রান্নার খরচ বেড়েছে আগের বছরের চেয়ে। ২০২২ সালের অক্টোবরের তুলনায় গত মাসে পেঁয়াজ ও টমেটোর দাম যথাক্রমে ৯৩ ও ১৫ শতাংশ বৃদ্ধির কারণে থালির খরচ বেড়েছে প্রায় ৯ শতাংশ। নভেম্বরে ডালের দাম প্রায় ২১ শতাংশ বেড়েছে; যার প্রভাব পড়েছে রান্নায়। ভারতে নিরামিষ রান্নায় ডালের অনুপাত প্রায় ৯ শতাংশ।