টুইটারে পোস্ট প্রদর্শনের ক্ষেত্রেও অগ্রাধিকার পাবেন নীল টিকধারীরা

টুইটারছবি: রয়টার্স

এবার নীল (ব্লু) টিকযুক্ত অ্যাকাউন্ট থেকে করা টুইট ও রিটুইটগুলো অন্য ব্যবহারকারীদের কাছে প্রদর্শনের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেবে টুইটার। একই সঙ্গে শুধু যাচাইকৃত (নীল টিকযুক্ত) গ্রাহকেরাই টুইটারে পোল বা নির্বাচনে ভোট দেওয়ার অনুমতি পাবেন। আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে নতুন এসব নিয়ম কার্যকর হবে। খবর বিবিসির।

টুইটার পোস্টের অগ্রাধিকার পদ্ধতি নিয়ে বেশ কিছুদিন আগেই আভাস দিয়েছিলেন খুদে ব্লগ লেখার সাইটটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইলন মাস্ক। এবার সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের দিন ও তারিখ জানিয়ে দেওয়া হলো।

আরও পড়ুন

নতুন নিয়মের ফলে টুইটারকে অর্থ প্রদান করে না (নীল টিক ছাড়া) এমন অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া পোস্ট অন্য ব্যবহারকারীদের ফিডে প্রদর্শন করা হবে না। বিপরীতে যাঁরা অর্থের বিনিময়ে নীল টিক নিয়েছেন, তাঁদের পোস্টগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অন্যদের কাছে প্রদর্শন করা হবে।

এর আগে গত সপ্তাহে টুইটার জানিয়েছিল, ইলন মাস্কের টুইটার কেনার আগে থেকে নীল টিক রয়েছে—এমন বেশ কিছু অ্যাকাউন্টের নীল টিক সরিয়ে দেবে। টুইটার ব্যবহারকারীরা বর্তমানে মাসে সাত ডলারের বিনিময়ে নীল টিক সুবিধা নিতে পারেন।

এতে গ্রাহকেরা অতিরিক্ত কিছু বৈশিষ্ট্য ব্যবহারের সুযোগ পান। এর মধ্যে নতুন যোগ হতে চলা একটি নিয়ম হলো, অন্যদের কাছে টুইট প্রদর্শনে অগ্রাধিকার।

অবশ্য টুইটারের এই পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন প্ল্যাটফর্মটির অনেক ব্যবহারকারী। তাঁরা বলেন, এর ফলে টাকা দিয়ে টুইটারের মাধ্যমে বিরূপ মতাদর্শ ও আধেয়ের (কনটেন্ট) প্রচার বেড়ে যেতে পারে।

টুইটারের সাবেক কিছু কর্মীর বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, আফগানিস্তানের অনেক তালেবান কর্মকর্তা ও তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ সমর্থকেরা এবং বিতর্কিত অনেক গোষ্ঠী অর্থের বিনিময়ে টুইটারের নীল টিক ব্যবহার করে। ফলে টুইটার এখন ট্রল ও ভুল তথ্য প্রচারের জন্য স্বর্গ হয়ে উঠতে পারে।

আরও পড়ুন

নাম প্রকাশ না করার শর্তে টুইটারের ভেরিফিকেশন টিমের সাবেক এক কর্মী বিবিসিকে বলেন, ‘আমাদের সময় প্রধান লক্ষ্য ছিল তথ্য যাচাইয়ের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের সম্ভাব্য ক্ষতি থেকে রক্ষা করা। কিন্তু বর্তমান পদক্ষেপ সেই লক্ষ্যের সম্পূর্ণ বিপরীত।

এখন যাচাইকৃত (অর্থের বিনিময়ে নীল টিকধারী) ব্যবহারকারীরা টুইটারে তাদের সরব উপস্থিতি জানান দিতে পারবে। তবে বিরূপ ব্যক্তি বা গোষ্ঠী এটি ব্যবহার করে সারা বিশ্বে সহজেই ভুল তথ্য প্রচার করতে পারবে। এটি একটি নিরব হুমকি, যা কেউ দেখছে না।’

আরও পড়ুন